খালপাড়ে কুচি কুচি টাকার স্তূপ দেখে হতবাক গ্রামবাসী। পরে দুজন নারী বস্তায় ভরে কুচিগুলো বাড়ি নিয়ে যান রান্নার কাজে ব্যবহারের জন্য।
তাদের দেখে আরো কয়েকজন খালপাড়ে আসেন। এভাবেই জানাজানি হয় ঘটনা। শেষ অবধি খবর পায় পুলিশ।
মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সকালে বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার খোট্টাপাড়া ইউনিয়নের জালশুকা খারুড়া ব্রিজ সংলগ্ন খালপাড়ে যায় পুলিশ।
পরিত্যক্ত অবস্থায় টাকার টুকরোগুলো উদ্ধার করে। এসময় আশপাশ গ্রামের মানুষ সেখানে আসে। বস্তা বস্তা পরিত্যক্ত টাকার খবর ছড়িয়ে পড়ে গোটা জেলাতেই।
রাজধানীসহ সারাদেশের ক্যাসিনো ও ক্লাবগুলোতে অভিযানে নগদ টাকা উদ্ধারের ঘটনার মধ্যে পরিত্যক্ত এসব টাকার উৎস নিয়ে কৌতুহল সৃষ্টি হয়।
অনেকেই ভাবছিলেন, কেউ হয়তো কালো টাকা ফেলে রেখে গেছে। একসঙ্গে এত টাকা গ্রামের মানুষ কখনও দেখেননি। তাই স্থানীয় গ্রামবাসী হতবাক হয়ে যায়।
এ ঘটনা শোনার পর পরই বাংলাদেশ ব্যাংকের বগুড়া শাখার ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ব্যাংকিং) সরকার আল ইমরান জানান, এসব পার্চিং করা টাকার টুকরো।
আগে পুড়িয়ে ফেলা হতো, কিন্তু পরিবেশ দূষণ হওয়ায় এখন আর পোড়ানো হচ্ছে না। ময়লা হিসেবে পৌরসভার মাধ্যমে বস্তা ভরে ফেলে দেয়া হচ্ছে।
দেশ দর্পণে আরও পড়ুন :
শাজাহানপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিম উদ্দিন, বাংলাশে ব্যাংকের পার্চিং (কেটে ফেলা) করা টাকা ময়লা হিসেবে পৌরসভার মাধ্যমে ফেলে দেয়া হয়েছে। স্থানীয়রা টাকার টুকরোগুলো বস্তা ভরে নিয়ে যাচ্ছেন।
বগুড়া পৌরসভার সচিব রেজাউল করিম বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে কুচি করা টাকার বস্তা সংগ্রহ করে পৌরসভার নির্ধারিত ডাম্পিং স্টেশনে ফেলার কথা ছিল।
তবে তিনি বলেন, পৌরসভার নিজস্ব গাড়ি নেই। ভাড়া করা ট্রাক দিয়ে কুচি করা টাকা পৌরসভার ডাম্পিং স্টেশনে নেয়ার কথা থাকলেও চালক সেটি করেননি।
তিনি জ্বালানি হিসেবে ব্যবহারের জন্য গাড়ি নিয়ে নিজের বাড়ি জালশুকাতে চলে যান। যখন জানতে পারেন টাকা পোড়ানো যাবে না তখন খালে ফেলে দেন।
সেপ্টেম্বর ২৪, ২০১৯ at ১৯:২১:৩০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আহা/আরএ/আজা