যশোরের অভয়নগর উপজেলার মশরহাটী গ্রামে নওয়াপাড়া জুট মিলের জমে থাকা বর্জ্য থেকে বিভিন্ন প্রজাতির মশা জন্ম নিচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
মিলের অফিস, আবাসিক ও অনাবাসিক এলাকার সকল বর্জ্য পাইপ লাইনের মাধ্যমে ফেলা হচ্ছে রেলওয়ের জমিতে। ডেঙ্গুসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হওয়ার আতঙ্কে রয়েছেন এলাকাবাসী।
সরেজমিনে মঙ্গলবার সকালে নওয়াপাড়া জুট মিলে গিয়ে দেখা যায়, মিলের প্রধান ফটকের পাশে সীমানা প্রাচীরের সামনে রেল লাইন সংলগ্ন সরকারি জমির কয়েকটি স্থানে বিপুল পরিমান বর্জ্য জমে আছে।
আরও পড়ুন :
স্কুলছাত্রীকে গণধর্ষণ ও হত্যার দায়ে ৪ জনের ফাঁসি
ঝোপঝাড়ে পরিপূর্ণ, যত্রতত্র ময়লা-আবর্জনার মধ্যে জমে থাকা দুর্গন্ধযুক্ত বর্জ্যে প্রচুর মশা ও ক্ষতিকর জীবানুও রয়েছে।
বর্জ্যরে পাশে স্থানীয় ওয়ার্ড আ.লীগ, যুবলীগ ও শ্রমিকলীগের কার্যালয় রয়েছে। অপরপার্শ্বে রয়েছে শতশত বস্তি ঘর। বস্তির রহিমা বেগমসহ কয়েকজন অভিযোগ করেন, বছরের পর বছর এভাবে মিলের সব ময়লা-আবর্জনা ও বর্জ্য পাইপের মাধ্যমে রেলের জমিতে ফেলা হয়।
দুর্গন্ধে বসবাস করা কঠিন হয়ে পড়ে। মিল কতৃপক্ষ এসব ময়লা-আবর্জনা ও বর্জ্যরে মধ্যে কোন প্রকার ওষুধও দেয় না। বর্তমানে ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। সেই আতঙ্কে রয়েছি আমরা। বর্জ্য ও দুর্গন্ধ থেকে মুক্তি কামনা করেন তারা।
আ’লীগ কার্যালয়ে থাকা ওহিদুল জানান, দুর্গন্ধযুক্ত বর্জ্য থেকে রক্ষা পেতে তিনিসহ দলের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ মিল কতৃপক্ষের নিকট রেলওয়ের ওই জমিটি চেয়েছিলেন।
তারা ওই জমির উপরাংশে ফুলের বাগান এবং খননকৃত অংশে (জমে থাকা বর্জ্য) মাছের চাষ করতে চেয়েছিলেন। বারবার আবেদন করার পরও মিল কতৃপক্ষ প্রস্তাবে রাজি হয়নি।
মিল কতৃপক্ষের এহেন কর্মকান্ডে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এখন এলাকাবাসী চরম আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন। কারন পরিত্যক্ত জমে থাকা বর্জ্য থেকে এডিসসহ বিভিন্ন প্রজাতির মশার জন্ম হয়।
এ ব্যাপারে নওয়াপাড়া জুট মিলের ম্যানেজার মোহাম্মদ শাহীনের মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, রেলওয়ের জমি জুট মিল লিজ নিয়ে রেখেছে।
ময়লা, আবর্জনা ও বর্জ্যরে বিষয় স্বীকার করে বলেন, বিষয়টি উর্দ্ধতন কতৃপক্ষকে জানাবেন এবং দ্রত সময়ের মধ্যে ব্যবস্থা গ্রহন করবেন। দীর্ঘদি যাবৎ জমে থাকা বর্জ্য থেকে বিভিন্ন প্রজাতির মশার জন্ম নিচ্ছে এমন অভিযোগের বিষয়টি তিনি এড়িয়ে যান।
সেপ্টেম্বর ২৪, ২০১৯ at ১৭:৩৫:৩০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আহা/আক/আজা