শোয়ার ঘরে কতকিছুই আনতে হয়। ঢোকে যায় অসতর্কতায়। তবে এসব আপনার জন্য সমস্যা ডেকে আনতে পারে। হয়তো ছোটখাটো সমস্যা কিন্তু সেগুলোর বড় হয়ে যায় ধীরে ধীরে। তাই বিশ্লেষকদের পরামর্শ এরকম দশ জিনিস শোয়ার ঘর থেকে দূরে রাখা নিরাপদ।
সারাদিন কাজের মধ্যে ডুবে থাকার পর সাময়িক শান্তি আনার জন্যই শোয়ার রুম। কিন্তু এখানে রুমটি গোছানো ও পরিকল্পিত না হওয়ায় সমস্যা দেখা দেয়। বোল্ডস্কাইয়ের সূত্রে পরামর্শগুলো তুলে ধরা হলো।
অফিসকে ঘরে আনবেন না
সারাদিন অফিসে কাজ করে বাড়িতে আমরা শান্তির জন্যে আসি। কাজের থেকে একটু হালকা হতে আমাদের বাড়িতে আসা। কিন্তু নিজের সাথে সময় দিতেই হোক বা নিজের স্বামী বা স্ত্রীর সাথে, অফিসের কাজের চাপ বেডরুম অব্দি না আসতে দেওয়াই ভালো।
অফিসের কাজের পেপার বা ফাইল সামনে থাকলে অন্তরঙ্গ বা নিভৃত, কোনো মুহূর্তই আপনার জন্যে শান্তির হবে না।
অপ্রয়োজনীয় জিনিস জমা করবেন না
নিজের বেডরুমকে যথাসাধ্য সাধারণ রাখুন। অযথা অতিরিক্ত আসবাবপত্র দিয়ে ঘর ভরিয়ে রাখবেন না। বিছানার উপর জামাকাপড়ের স্তূপ বা বইয়ের স্তূপ করে রাখবেন না। মনে রাখবেন এগুলোর জন্যে ওয়ার্ড্রোব বা বুকশেলফ আছে।
ইলেক্ট্রনিক গ্যাজেটকে না
ইলেক্ট্রনিক গ্যাজেটকে চেষ্টা করুন বেডরুমের বাইরে রাখতে। শুনতে হয়ত হাস্যকর শোনাবে কিন্তু এটা সত্যি। কারণ আমরা জানি আজকের দিনে এই গ্যাজেট আমাদের সময় কতটা নষ্ট করে দেয়।
ফোনে সবসময় মুখ গুঁজে থাকতে থাকতে নিজস্ব সময় আর জায়গা টুকুও যে কমতে থাকে, এটা আমাদের মনে থাকে না। তাই চেষ্টা করুন দিনের শেষটা যেন মোবাইল ফোন কেড়ে না নেয়।
এঁটো বাসন থাক ঘরের বাইরে
অনেক সময় হোম ডেলিভারির খাবার প্যাকেট খুলে আমরা আলসেমিতে বেডরুমে এনেই খেতে থাকি। বা কখনো চা বা কফি খেয়ে সেই কাপ ওখানেই ফেলে রাখি। এটা অস্বাস্থ্যকর এবং দৃষ্টিনন্দন নয়। খাবার পরে সেই প্লেট বা কাপ বা প্যাকেট বাইরে কিচেনে রেখে আসুন।
টিভিকে না বলুন বেডরুমে
যদি আপনি অবিবাহিত হন তাহলে হয়তো টিভি আপনার জন্যে একটা সময় অব্দি আপনাকে সময় কাটাতে সাহায্য করবে। কিন্তু বিবাহিত হলে আপনি কখনোই চাইবেন না একটা যান্ত্রিক মাধ্যমের বিনোদন আপনার অন্তরঙ্গ মুহূর্তকে নষ্ট করুক।
এছাড়াও অনেক সময় আমরা ঘুম আসছে না এই অজুহাতে টিভি চালিয়ে রাখি। এই স্বভাব আমাদের ঘুমানোর অভ্যেস অনেকভাবে পাল্টে দেয়।
পোষ্যকে রাখুন বাইরে
অনেকেই এটা শুনলে কানে আঙুল দেবেন বা হাসবেন। অনেকে বলবেন যে আমাকে ছাড়া আমার পোষ্য ঘুমাতে পারে না। কিন্তু এটা পরীক্ষামূলকভাবে সত্যি। আপনার রোজকার রুটিন আর আপনার পোষ্যর রোজকার নিয়ম এক না। আপনি নিশ্চয় চাইবেন না সারাদিনের ক্লান্তির পর আপনার ঘুম আপনার পোষ্যর মাঝরাতে ডাকাডাকি বা পায়চারিতে ভেঙে যাক।
অতিরিক্ত কৃত্রিম আলো
অতিরিক্ত আলো না রাখার চেষ্টা করবেন। মনে রাখবেন আপনার ড্রইং রুম আর বেডরুমের মধ্যে তফাৎ থাকা জরুরি। অতিরিক্ত আলো যাতে আপনার শান্তি বিঘ্নিত না করে, সেদিকে লক্ষ্য রাখুন।
ক্যাকটাস রাখবেন না
বেডরুমে ক্যাকটাস বা অন্য কোনো কাঁটা গাছ রাখবেন না। কারণ এতে সম্পর্কের শান্তি বিঘ্নিত হয়। ঘর সাজানোর অন্য ফুল বা বনসাই বা অর্কিড ব্যবহার করুন।
ভাঙ্গা কাঁচকেও না বলুন
ভাঙ্গা কাঁচ হলো সম্পর্ক ভাঙার প্রতীক। যদিও এটি কুসংস্কারের অন্তর্ভুক্ত তবে এটা রাখাই উচিত। কারণ সম্পর্কের অবনতি হলে এটি বড় ক্ষতি বয়ে আনতে পারে।
ধূমপান/অ্যালকোহল বেডরুমে না
আপনি বিবাহিত হন বা অবিবাহিত, সঙ্গী থাকুক বা না। নেশা করার অভ্যেস বেডরুম অব্দি না আনা শ্রেয়। আমাদের অতিরিক্ত ডোপামিনের আরামের জন্যে আমাদের অবচেতন মন সব সময় ওই নেশার দিকে ঝুঁকে থাকে।
এই অভ্যেস হয়তো আপনার পছন্দের হলেও আপনার সঙ্গী বা সঙ্গিনীর পছন্দের নাও হতে পারে।
সেপ্টেম্বর২৪,২০১৯ at ০৯:১১:১৮(GMT+06)
দেশদর্পণ/আহা/ আক/আস /ইআ