টেন্ডার পেতে রাজশাহী বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণাগারের (বিসিএসআইআর) পরিচালক ড. মো. ইব্রাহিমকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় এক কর্মচারীর বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) রাবি উপাচার্যের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন পরিচালক ড. ইব্রাহিম।
অভিযুক্ত মো. আনোয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টেট দপ্তরের উচ্চমান সহকারী ও মেসার্স এ. এস. এম ট্রেডার্স এর মালিক। নগরীর মতিহার থানার বিনোদপুরের ডাশমারী গ্রামের মৃত মতলেব আলীর ছেলে।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, আনোয়ার হোসেন রাজশাহী মেসার্স এ. এস. এম ট্রেডার্স এর নামে প্রথম শ্রেণির ঠিকাদার ও সরবরাহকারী হিসাবে গবেষণাগারে ৮ সেপ্টেম্বর উলুখড় নিলামে দরপত্র প্রদান করেন। তবে নির্ধারিত ১১ শর্ত পূরণ না হওয়ায় তার ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানটি বাতিল বলে গণ্য হয়। এর পর থেকেই তার প্রতিষ্ঠানের নামে নিলাম পেতে রাজনৈতিকসহ বিভিন্ন ভাবে ফোনে হুমকি প্রদান করেন।
এদিকে অভিযোগ রয়েছে, সরকারি আইনের ব্যতয় ঘটিয়ে ঠিকাদারি ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন আনোয়ার। যদিও সরকারি চাকুরি বিধি ১৯৭৯ এর ১৭ ধারায় বলা আছে, কোন সরকারি কর্মকর্তা সরকারের পূর্বানুমোদন ব্যতিরেকে সরকারি কার্য ব্যতীত অন্য কোন ব্যবসায় জড়িত হতে অথবা অন্য কোন চাকরি বা কার্য গ্রহণ করতে পারবে না।
বিসিএসআইআর পরিচালক ড. মো. ইব্রাহিম বলেন, গবেষণাগারের নিলাম সংক্রান্ত যাবতীয় কার্যক্রম প্রকৌশল শাখা এবং নিলাম কমিটি নিয়মমত পরিচালনা করে থাকে। এ প্রক্রিয়ায় একক কর্তৃত্ব বা অনিয়ম দুর্নীতি করার সুযোগ নেই। এরপরও ভয়ভীতি দেখিয়ে আনোয়ার টেন্ডার পেতে চায়। এরই প্রেক্ষিতে রাবি ভিসির নিকট লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।
আরও পড়ুন:
বাল্যবিয়ের ঝুঁকিতে ১৩ হাজার ৩৭৫ শিশু
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আনোয়ার পরিচালককে হুমকি-ধামকির বিষয়টি অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, আমার কোন ট্রেড লাইসেন্স নেই। তবে প্রতিবেদকের কাছে তার ট্রেড লাইসেন্সের কপি হাতে এসেছে। রাবি উপাচার্য ড. এম আব্দুস সোবহান এর মুঠোফোনে একাধিক বার যোগাযোগ করা হলেও ফোন রিসিভ করেন নি।
রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. এম এ বারী জানান, বিসিএসআইআর পরিচালককে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সরকারি চাকরিতে থেকে ঠিকাদারী করার বিষয়ে তিনি জানান, এ বিষয়ে অবগত করে ট্রেড লাইসেন্স নেয় নি। তথ্য ফাঁকি দিয়ে করতে পারে। এ বিষয়েও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।
সরকারি চাকুরীজীবী হিসিবে ঠিকাদারি করতে পারে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে রাজশাহী কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী মুন্নাসাহা বলেন, পাবলিক সার্ভিস রুল অনুযায়ী সরকারি চাকুরি থেকে ঠিকাদারী করতে পারবে না। অর্থাৎ একই সঙ্গে সরকারি দুটি সুবিধা ভোগ করতে পারবে না।
সেপ্টেম্বর ২৩, ২০১৯ at ২০:২২:৩০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আহা/আক/এসএস/কেএ