বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারীতে এবছর আমন ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কৃষি কর্মকর্তাদের মাঠ পর্যায়ে সঠিক তদারকি কৃষকদের হাতে কলমে শিক্ষা ধানের সঠিক পরিচর্ষা, সময়মত জমি চাষাবাদের উপযোগী, সার, কিটনাষক প্রয়োগ, পার্চিং পদ্বতির ব্যবহার করায় বাম্পার ফলনের আশা করছেন কৃষক সোলাইমান।
তিনি আরো বলেন উপসহকারী কৃষি অফিসার রফিকুল আলম কৃষকদের সুপরামর্শ এবং ধানক্ষেত পরিদর্শন করে কৃষকদের রোগ বালাই দমনে করনীয় নিয়ে আলোচনা পুর্বক ব্যবস্থাপত্র দেওয়ায় রোগ বালাই অনেকটা কমে গেছে।
হলুদিয়াশিয়া গ্রামের কৃষক বদিউল আলম, মোঃ নুরুল আজিম, আবদু শুক্কুরসহ অনকেই জানান, তাদের এলাকার দায়িত্ব প্রাপ্ত উপসহকারী কৃষি অফিসার মোঃ শহিদুল আলম প্রতিদিন ধানক্ষেত পরিদর্শন, কৃষকদের সাথে আলাপ আলোচনা রোগ বালাই দমনে পরামর্শ সভা করার ফলে আমনের ভাল ফলনের আশা করছেন। এ পর্যন্ত ধান আগের তুলনায় ভাল হয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করছেন।
কৃষক আবদুল আলিম জানান, এবার নতুন জাতের ধান ব্রি -৭৫ কৃষি অফিস থেকে পাওয়া তিনি চাষাবাদ করে লাভের মুখ দেখেছেন। ফলন ভাল ফলার সম্ভাবনার কথা তিনি জানান।
উপসহকারী কৃষি অফিসার শহিদুল আলম বলেন, কম বয়সী নতুন জাতের ধান ব্রি-৭৫ বীজ ফেলানোর ১৮ /১৫ দিনের মাথায় জমিতে চারা লাগাতে হবে এবং সময়মত সার কিটনাষকসহ ভাল পরিচর্যা করতে হবে। তাহলে ফলন ও ভাল হবে এবং কৃষক ও লাভবান হবে। এর ব্যতিক্রম হলে ফলন ভাল হবেনা
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বাইশারী ইউনিয়নের ৩ টি ব্লকে সবুজে সবুজে মাঠ ভরপুর। কষকদের মনে ও আনন্দে মাতোয়ারা। কৃষকেরা আগাম সম্ভাবনার কথা জানিয়ে বলেন আরো কিছুদিন পর ফসল ঘরে আসবে। বাকী দিনগুলো যদি আবহাওয়া অনুকুলে থাকে তাহলে চাহিদা অনুযায়ী ফসল ঘরে তোলা যাবে। কৃষক আব্দুর রশিদ বলেন, ধান ভাল হবে তবে ভাল দাম/ন্যায্য মুল্য না পাওয়ায় কৃষকেরা ভালভাবে লাভবান হতে পারছেনা। এখন সবকিছুর দাম বৃদ্বি হওয়ায় চাষাবাদ থেকে ও মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে অনেকে।
৩নং ব্লকের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উপসহকারী কৃষি অফিসার রফিকুল আলম বলেন, পুরো উপজেলায় আনুমানিক ৪ হাজার হেক্টর জমিতে আমন চাষাবাদ হয়েছে। প্রতিটি ইউনিয়নে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাগন কৃষকদের হাতে কলমে প্রশিক্ষন, মাঠ পরিদর্শন, পরামর্শ সভা, পার্চিং পদ্বতির ব্যবহারের ফলে এবং সময়মত সার কিট নাশক ছিটানোর ফলে আমন মৌসুমে ভাল ফলনের আশা করছেন তিনি। বাকী আল্লাহ ভরসা।
তিনি আরো বলেন এবছর এখনো পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকুলে রয়েছে। কৃষকদের দাবী ধানের দাম বাড়িয়ে এবং কৃষি উপকরণ দাম কমিয়ে দিলে তারা কিছুটা লাভবান ও কৃষকের কাজে আগ্রহ বেড়ে যেত।
সেপ্টেম্বর ২৩, ২০১৯ at ১৮:৩২:৩০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আহা/আক/এএইচ/কেএ