উত্তাল হতে শুরু করেছে পদ্মা

বিপদ সীমার প্রায় এক মিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে নদীর পানি। উত্তাল হতে শুরু করেছে পদ্মা। এরই মধ্যে নদী তীরবর্তী এলাকা ও চর প্লাবিত হয়ে তলিয়ে গেছে ফসলি জমি।

পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের উজান থেকে ধেয়ে আসা পাহাড়ি ঢলে পদ্মা নদীর হঠাৎ পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় আশঙ্কা দেখা দিয়েছে নদী ভাঙনের।

রবিবার সকল থেকে ১৭ দশমিক ৩২ মিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। রাজশাহীতে পদ্মা নদীর পানির বিপদ সীমা ১৮ দশমিক ৫০ মিটার।

পানি প্রতিদিনই প্রায় ২০ থেকে ২৫ সেন্টিমিটার হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এরই মধ্যে নিম্না ল প্লাবিত হয়েছে। আবাদি জমি ও পুকুর জলাশয় পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

এর আগে তীরবর্তী এলাকাবাসী জানিয়েছেন, শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) উজানের পানি এসে পদ্মার পানি বাড়তে শুরু করেছে। এরপর প্রতিদিনই বাড়ছে পানি।

কয়েকদিন আগে পানি কমতে থাকায় পদ্মার পাড় এলাকায় ব্যাপক ভাঙন দেখা দেয়। একদিকে ভাঙন অন্যদিকে নতুন করে ফসল তলিয়ে যাওয়ায় ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছে ভুক্তভোগীরা।

আরও পড়ুন:
ইয়াবা ভাগাভাগির সময় গ্রেপ্তার পাঁচ পুলিশ কারাগারে
ধারালো অস্ত্র দিয়ে যুবককে কুপিয়ে হত্যা

নদীর পানি আকস্মিক বৃদ্ধি পাওয়ায় চিন্তিত হয়ে পড়েছেন পদ্মা পাড়ের মানুষ। সম্প্রতি কয়েক দফা বন্যার ধকল কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই আবারো বন্যা পরিস্থিতির মুখে পড়েছেন তারা।

অনেকে সর্বস্ব বিক্রি করে লাভের আশায় শীতের আগাম সবজি চাষ করেছেন। শীতের আগাম সবজি বাঁধাকপি, টমেটো, পিয়াজ ও লালশাক তলিয়ে যাওয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন চাষিরা।

খোলাবোনার চর এলাকা রাজ্জাক হোসেন তার রোপিত ডুবে যাওয়া পিয়াজ সংগ্রহ করছেন। তিনি আরো বলেন, প্রতিবছর এই চরে ব্যাপক পরিমাণ শীতের আগাম বাঁধাকপি, টমেটোর আবাদ হয়ে থাকে। এ সময় সাধারণত পদ্মার পানি বৃদ্ধি পায় না। কিন্তু এবার আলাদা।

আনোয়ার বলেন, পাঁচ বিঘা জমিতে টমেটো রোপণ করেছিলেন তিনি। যার বেশীরভাগ তলিয়ে গেছে। তার মতো ওই এলাকার বেশ কয়েকজন চাষির ফসল তলিয়ে যাওয়ায় ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন তারা।

পদ্মা নদীতে গেজ পাঠক এনামুল হক বলেন, প্রতিদিনই প্রায় ২০ থেকে ২৫ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে নদীর নিমা ল ডুবে যাচ্ছে। শনিবার সন্ধ্যায় এই মৌসুমের সর্বোচ্চ উচ্চতা ছিল ১৭ দশমিক ২২ মিটার। রাজশাহীতে পদ্মা নদীর পানির বিপদ সীমা ১৮ দশমিক ৫০ মিটার।

সেপ্টেম্বর ২২, ২০১৯ at ২১:২১:২৯ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আহা/আক/মারারা/এএএম