সুনামগঞ্জে জগন্নাথপুর উপজেলার ব্যবসায়ী ফেরদৌস মিয়া হত্যা মামলায় সানি মিয়া (৩১) নামের এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে আরো ৩ মাসের কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত।
এছাড়া এ মামলার অন্য আসামি সাজ্জাদ মিয়া, আনোয়ার মিয়া, মোঃ নূর আলম, আজম মিয়া ও রবিকে খালাস প্রদান করেছেন আদালত। যাবজ্জীবন কারাদন্ড প্রাপ্ত সানি মিয়া জেলার জগন্নাথপুর উপজেলার ঘোষগাঁও গ্রামের মৃত আব্দুল মিয়ার ছেলে।
রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে এ রায় ঘোষণা করেন সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন। মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট সৈয়দ জিয়াউল ইসলাম এবং আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট মোঃ আজাদুল ইসলাম ও অ্যাডভোকেট আজমল হোসেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০০৮ সালের ১৪ জুন রাত সোয়া ৮টার দিকে জগন্নাথপুর উপজেলার শিবগঞ্জ রোডে রাস্তার পূর্ব পার্শ্বে শাহরিন ভেরাইটিজ স্টোর নামক মুদি দোকানের ব্যবসায়ী ফেরদৌসকে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে খুন করা হয়।
এ সময় ফেরদৌসের বড় ভাই রাজন মিয়া দোকান থেকে বাড়ি ফেরার পথে রাস্তায় তার দোকানের চাবি পড়ে থাকতে দেখলে তার সন্দেহ হয়। পরে খোঁজাখুঁজি করার পর পাশের ঝোপে ফেরদৌসকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পান তিনি।
এসময় ফেরদৌসের পাশে ধারালো অস্ত্র হাতে দাঁড়িয়ে ছিলেন ঘোষগাঁও গ্রামের মৃত আব্দুল মিয়ার ছেলে সানি মিয়া। ভাইয়ের খারাপ অবস্থা দেখে রাজন মিয়া তাকে বাঁচাতে গেলে ঘাতক সানি মিয়া তাকেও ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে পালিয়ে যায়। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় ফেরদৌস ও রাজনকে তাদের বাড়িতে নিয়ে গেলে ফেরদৌস মারা যায় এবং রাজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ওই ঘটনায় নিহত ফেরদৌস ও আহত রাজনের বড় ভাই শাহীন মিয়া বাদী হয়ে ঘটনার পরদিন ১৫ জুন জগন্নাথপুর থানায় সানি মিয়া, সাজ্জাদ মিয়া, আনোয়ার মিয়া, মোঃ নূর আলম, আজম মিয়া ও রবির বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ তদন্ত শেষে পুলিশ সানি মিয়ার বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে।
সেপ্টেম্বর ২২, ২০১৯ at ১৯:০০:১৮ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আহা/ আক/জেএ/কেএ