ইবিতে প্রক্টরের অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে সদ্য যোগদানকৃত প্রক্টরের দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান।

গত শনিবার তিনি সাত দিনের মধ্যে ইবি ক্যাম্পাসকে মাদক ও অবৈধছাত্র মুক্ত করার প্রত্যয় নিয়ে প্রক্টর হিসেবে যোগদান করেছেন। গত ৮ সেপ্টেম্বর থেকে আগামী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত তাকে এ দায়িত্ব প্রদান করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

ইবি ক্যাম্পাসকে মাদক ও অবৈধছাত্র মুক্ত করার প্রত্যয় নিয়ে শনিবার থেকেই কাজ শুরু করে দিয়েছেন তিনি। তারই অংশবিশেষ শনিবার রাতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সাথে আবাসিক হলের সামনে বসে সকলের সহযোগিতা চান এবং কিভাবে ক্যাম্পাস থেকে মাদক নির্মূল করা যায় সেব্যাপারে সবার কাছ থেকে বিভিন্ন পরামর্শ নেন।

পাশাপাশি ক্যাম্পাসের কোথাও কেউ যদি মাদকের আবাস পায় তাহলে যেন অবশ্যই প্রশাসনকে জানানো হয়। কিন্তু ৭দিনের মধ্যে মাদক মুক্ত করার ঘোষণা শুনে মাদকাসক্ত শিক্ষার্থী ও মাদক ব্যবসায়ীদের মাঝে আতংক বিরাজ করছে।

আরও পড়ুন :
হত্যা মামলায় সানি মিয়াকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড
চৌগাছায় ১০৭ মামলায় ১৩৫ জন মাদক ব্যবসায়ী আটক

সেজন্য গতকাল রবিবার দুপুরে ছাত্রলীগের পদবঞ্চিত বিদ্রোহী গ্রুপের নেতাকর্মীদের নেতৃত্ব প্রক্টরের পদত্যাগ চেয়ে তারা বিক্ষোভ মিছিল, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক তালাবন্ধ ও সমাবেশ করে।

তাদের দাবি বর্তমান প্রক্টর ২০১৪ সালে তার নির্দেশে পুলিশ ছাত্রলীগের উপর গুলি চালায় এবং নিয়োগ বাণিজ্যের সাথে তার সম্পৃক্ত আছে বলে অভিযোগ করেন।

এদিকে সাধারণ শিক্ষার্থীদের দাবি প্রক্টর মাহবুবর রহমান গত দুই মেয়াদে যে শৃঙ্খলার সাথে সুন্দর একটি ক্যাম্পাস উপহার দিয়েছেন। তাকে তৃতীয় মেয়াদে প্রক্টর হিসেবে বহাল রাখার জন্যে ২৩ সেপ্টেম্বর সকালে প্রশাসনিক ভবনের সামনে মানববন্ধনের ডাক দিয়েছেন।

এ বিষয়ে অধ্যাপক ড. মাহবুবর রহমান বলেন, প্রশাসনের অনুরোধে ইবি ক্যাম্পাস থেকে ৭দিনের মধ্যে মাদক, অ-ছাত্র ও অবৈধছাত্র মুক্ত করার প্রত্যয় নিয়ে স্বল্পমেয়াদী প্রক্টরের দায়িত্ব গ্রহন করার কারণে তারা আজকে এই বিক্ষোভ মিছিল করছে। তারা যদি আনীত অভিযোগের একটি প্রমাণ করতে পারে আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল কাজ থেকে অব্যাহতি নিব।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. রাশিদ আসকারী বলেন, অধ্যাপক ড. মোঃ মাহবুবর রহমান দীর্ঘকাল এ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর পদে দায়িত্ব পালন করেছেন এবং তার ভালো অভিজ্ঞতাও রয়েছে।

এই ক্রান্তিকালীন মূহুর্তে আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাকে অন্তর্বর্তীকালীন দায়িত্ব দিয়েছি। তাঁর বিরুদ্ধে যে অভিযোগ নিয়ে আসা হয়েছে সংশ্লিষ্ট তদন্ত কমিটি মাধ্যমে তা প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত তাঁকে অভিযুক্ত বলা ঠিক হবে না। যদি তারঁ বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত হয় তাহলে তাঁকে শুধু প্রক্টর পদ থেকে না চাকুরী থেকেও অব্যহতি দেয়া হবে।

উল্লেখ্য, অধ্যাপক ড. মাহবুবর রহমান আগে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রভোস্ট, ছাত্র উপদেষ্টা ও দুই মেয়াদে প্রক্টর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

বর্তমানে তিনি প্রগতিশীল শাপলা ফোরামের সাধারণ সম্পাদক, বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য এবং শিক্ষক সমিতির কার্যকরী সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন।

সেপ্টেম্বর ২২, ২০১৯ at ১৯:১৯:১৮(GMT+06)
দেশদর্পণ/আহা/তএইচ/আজা