ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) আন্তঃবিভাগ বঙ্গবন্ধু ফুটবল কাপ প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। শনিবার সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ফুটবল মাঠে এ প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ হারুন উর রশিদ আসকারী।
এরপর সকাল সাড়ে ১১টার দিকে উদ্বোধনী খেলা অনুষ্ঠিত হয়। উদ্বোধনী খেলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগ ও ইনভারনমেন্টাল সাইন্স এন্ড জিওগ্রাফি বিভাগ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে।
এবছর মোট ৩৩টি বিভাগ এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহন করছে বলে শারীরিক শিক্ষা বিভাগ সূত্রে জানা গেছে। উদ্বোধনী খেলায় কম্পিউটার সাইন্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগকে ১-০ গোলে সমাজকল্যাণ বিভাগ পরাজিত করে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. শাহিনুর রহমানের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. সেলিম তোহা, প্রক্টর অধ্যাপক ড. মাহবুবর রহমান, ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. পরেশ চন্দ্র বর্মন, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) আব্দুল লতিফ এবং শারীরিক শিক্ষা বিভাগের পরিচালক ড. মোহাম্মদ সোহেলসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তাবৃন্দ।
শারীরিক শিক্ষা বিভাগের সহযোগী পরিচালক নাবিলা রহমান অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন।
আরও পড়ুন :
বশেমুরবিপ্রবি-এর আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর দুর্বৃত্তদের হামলা, আহত ২২
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ হারুন উর রশিদ আসকারী বলেন, “আজ একটি ইতিহাস রচিত হচ্ছে, আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ২০২০ এর পহেলা জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সারা বছরব্যাপী রকমারি তাৎপর্যপূর্ণ প্রাসঙ্গিক অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে উৎযাপন করবো।
তারই ট্রায়াল হিসেবে আমাদের এ আন্ত-বিভাগ ও আন্ত-হল প্রতিযোগিতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর স্মৃতির উদ্দেশ্যে নিবেদিত হলো এবং বঙ্গবন্ধু কাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট হিসেবে এটা ঘোষিত হল।
এই প্রথমবারের মতো আমরা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশে নারীর ক্ষমতায়নে অসামান্য গৌরব উজ্জ্বল অধ্যায় রচনা করে চলেছি এবং তারই অংশ হিসেবে আমাদের এ ফুটবল টুর্নামেন্ট প্রতিযোগিতায় ছেলেদের পাশাপাশি মেয়েদের ফুটবল প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে।
জীবন ও জগতের প্রতিটি ক্ষেত্রে পুরুষের পাশাপাশি মেয়েরাও যাতে সমানভাবে কাজ চালিয়ে যেতে পারে সেই বাতাবরণ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সৃষ্টি করা হবে।
আর আমরা জননেত্রী শেখ হাসিনার আহ্বানে সাড়া দিয়েছি , আমরা একটি সন্ত্রাসমুক্ত, মাদকামুক্ত ও দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ বিনির্মাণের যে প্রত্যয়ে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।
তারই অংশ হিসেবে আমরা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়কে সম্পূর্ণ মাদক, সন্ত্রাস এবং দুর্নীতিমুক্ত করতে চাই। আমরা ফুটবলকে হ্যাঁ বলি, আমরা সংস্কৃতিকে হ্যাঁ বলি, আমরা লেখাপড়াকে হ্যাঁ বলি, আমরা খেলাধুলাকে হ্যাঁ বলি কিন্তু আমরা মাদককে না বলি।
আমরা সন্ত্রাসকে না বলি, জঙ্গিবাদকে না বলি। এখন আমাদের সবচেয়ে বড় এজেন্ডা দুর্নীতিকে না বলি। আমরা অত্যন্ত ক্রাস রয়েছি দুর্নীতির বিরুদ্ধে, ইনশাআল্লাহ অতি অল্প সময়ের মধ্যে আমরা ১৭৫ কে সম্পূর্ন দূর্নীতিমুক্ত ক্যাম্পাস হিসেবে ঘোষনা করব।
সেপ্টেম্বর ২১, ২০১৯ at ১৫:৩৪:২৯ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আহা/তএইচ/আজা