সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে পেঁয়াজ

প্রতিদিনের রান্নার গুরুত্বপূর্ন উপকরণ পেঁয়াজের দাম বাড়ছে তো বাড়ছেই। ক্রমান্নয়ে সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে। এ থেকে উত্তোরনের উপায় কি ?
স্বাভাবিক পেঁয়াজের যোগান দিতে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত থেকে আমদানি করতে হয়। বিভিন্ন স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি কারকদের মাধ্যমে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে ভারতীয় পেঁয়াজ।
এতোদিন স্বাভাবিক প্রয়োজনে দিনাজপুর জেলার হিলি স্থলবন্দর দিয়ে প্রতিদিন ৪০-৬০ ট্রাক ১০০০-১৫০০ মেঃটন পেঁয়াজ বাংলাদেশে আমদানি করা হতো এবং সেগুলো খালাস হয়ে ট্রাকযোগে দেশের বিভিন্ন স্থানে পৌঁছে যেত। একই পরিমান চাহিদা থাকা সত্বেও ভারতীয় ব্যবসায়ীরা পূর্ণ যোগান দিতে পারছেনা।
কারণ,কিছুদিন পূর্বে ভারতে বন্যা হওয়ায় সেদেশে পেঁয়াজের যোগান কমে গেছে। অভ্যন্তরীণ বাজারে ৬০-৮০ টাকা রুপি প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে। কাজেই বর্তমানে হিলি স্থল বন্দর দিয়ে প্রতিদিন ১০-১৫ ট্রাক ২৫০-৫০০ মেঃটন পেঁয়াজ বাংলাদেশে প্রবেশ করছে এবং প্রতিদিন দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে।
ভারতে যোগান কমে যাওয়ায় সেদেশের সরকার পেঁয়াজের রপ্তানী মূল্য বৃদ্ধি করে প্রতি মেঃটন ৮৫০ ডলার নির্ধারন করে। যা ইতিপূর্বে ২৫০-৩০০ ডলারে ক্রয় করা যেত। বর্তমানে আমদানি কারকদের প্রতি কেজি পেঁয়াজের মূল্য ৭২ টাকা কেজি হিসেবে এল সি দিতে হচ্ছে।
অর্থাৎ ৭২ টাকা কেজি দরে আমদানি কারকরা ভারত থেকে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ক্রয় করছে। ফলে বাংলাদেশের আমদানি কারকদের প্রতি কেজিতে ১২-১৫ টাকা ভারতীয় মহাজনদের নিকট চলে যাচ্ছে।
১৫০ মেঃটন পেঁয়াজ আমদানি করতে প্রায় ৩০ লক্ষ টাকা বাংলাদেশের আমদানি কারকের ভারতীয় মহাজনদের নিকট অতিরিক্ত পরিশোধ করতে হচ্ছে। পরবর্তীতে তাদের সুবিধা মত তারা এ টাকা পরিশোধ করবে।
বৃহস্পতিবারে (১৯ সেপ্টম্বর) হিলি স্থল বন্দরের পানামা হিলি পোর্ট লিংক লিমিটেড এ প্রতি কেজি ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৫৫-৬০ টাকা প্রতি কেজি।
হিলির আমদানি কারক সাদ ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী গোলাম মোরশেদ শাহীন বলেন,এভাবে চলতে থাকলে আমাদের পেঁয়াজের এল,সি করা সম্ভব নয়। দ্রুততার সাথে ভারতীয় সরকারের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে রপ্তানী খরচ কমিয়ে পূর্বের ন্যায় ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেওয়া দরকার বাংলাদেশ সরকারের।
আগামী সপ্তাহ থেকে পেঁয়াজের দাম আরো বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল।
সেপ্টেম্বর ২০, ২০১৯ at ২০:২৬:১৯ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আহা/আক/আএন/আক