বিশ্ববিদ্যায়ের ডাইনিংয়ের খাবারে বড়শি ও কেঁচো অভিযোগে বিক্ষোভ ও ভাংচুর

রাবি প্রতিনিধি: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় নবাব আব্দুল লতিফ হলের ডাইনিং এর খাবারে মাছ ধরা বড়শি ও কেঁচো পাওয়ার অভিযোগে হলের প্রধান ফটকে তালা লাগিয়ে বিক্ষোভ ও ভাংচুর করেছে আবাসিক শিক্ষার্থীরা। শুক্রবার দুপুর ১২ টা থেকে তিনটা পর্যন্ত হল গেটে এ আন্দোলন চলে।

এসময় হলে অভ্যন্তরে চেয়ার, ডাইনিং এর আসবাবপত্র, সিসিটিভি ক্যামেরা ভাংচুর করে বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীরা। পরে ঘটনাস্থলে প্রক্টর ও হল প্রাধ্যক্ষ উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।

এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে চিকিৎসা বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক ও হলের আবাসিক শিক্ষক সাইফুর রহমানকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। সাতদিনের মধ্যে তদন্তের প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়।

এছাড়াও, হলের বিভিন্ন সমস্যা উল্লেখ করে প্রক্টর ও প্রাধ্যক্ষকে স্মারকলিপি দেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।

হল সূত্র জানায়, হলের আবাসিক ও বাংলা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ইমরান হোসেন ডাইনিং এ মাছ ভর্তা দিয়ে খাবার খাচ্ছিলেন। এসময় মাছ ভর্তার মধ্যে মাছ ধরা বড়শি ও কেঁচো পায়। পাশে বসা আরেক আবাসিক শিক্ষার্থীকে দেখালে পরে সকল শিক্ষার্থীরা চিৎকার দিয়ে ডাইনিং এর আসবাবপত্র ভাংচুর শুরু করে।

আরও পড়ুন:
১০ হাজার টাকার বিনিময়ে গোপনে একদিনে তিন পরীক্ষার নেয়ার অভিযোগ
যুবলীগ নেতা শামীমসহ গ্রেফতার ৮
পুলিশ কর্মকর্তার পরামর্শে যৌতুক দিয়ে ধর্ষকের সঙ্গে শিশুর বিয়ে !

পরে হল ফটক লাগিয়ে বিক্ষোভ শুরু করে শিক্ষার্থীরা। পরবর্তীতে প্রক্টর ও প্রাধ্যক্ষ’র নিকট ১৫ দফা দাবি দেন।

শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হচ্ছে- ডাইনিংয়ের খাবার মান উন্নয়ন ও পরিচ্ছন্নতা, ক্যান্টিন ব্যবস্থা, রিডিং রুমের ব্যবস্থা, বিশুদ্ধ পানির ও ডাস্টবিনের ব্যবস্থা, ওয়াইফাই ও টয়লেটের মানোন্নয়, টিভি রুম আধুনিকায়ন প্রমুখ।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থী নির্ঝর বলেন, হল প্রাধ্যক্ষ তাঁদের কোনো কল্যাণে আসেন না। শুধু আশ্বাস দেই। বাস্তবায়ন হয় না। কেননা এ সমস্যগুলো নতুন নয়। এর আগেও অনেকবার আন্দোলন করেছি দৃশ্যমান কোন পদক্ষেপ পাইনি।

নবাব আব্দুল লতিফ হল প্রাধ্যক্ষ ড. একরাম হোসেন জানান, খাবারে বড়শির ঘটনা শুনেই হলে উপস্থিত হই। এঘটনায় তিন সদস্য কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং সাতদিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলেছি। তদন্ত সাপেক্ষে জড়িতের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এছাড়াও শিক্ষার্থীদের স্মারকলিপিতে উল্লেখিত দাবিগুলো দ্রুত সমাধান করার চেষ্টা করা হবে বলে জানান তিনি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রফেসর ড. লুৎফর রহমান বলেন, প্রাধ্যক্ষকে নিয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের শান্ত করি। পরে যৌক্তিক দাবি গুলো বিবেচনা নিয়ে দ্রুত সমস্যা নিরসনের চেষ্টা করা হবে বলে জানান তিনি।

 

সেপ্টেম্বর ২০, ২০১৯ at ১৭:৪৮:২৯ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আহা/আক/এসএস/আক