রাজশাহী নগরীতে কিশোরী ধর্ষণ, আটক ১

নানা বাড়ি থেকে নিজ বাড়িতে ফেরার পথে লিচু বাগানে (১৫) এক কিশোরীকে জোর পূর্বক ধর্ষণ করেছে দুই কিশোর।

বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধা সোয়া ৭টার দিকে নগরীর মতিহার থানাধিন ধরমপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) ভোরে অভিযান চালিয়ে হৃদয় (১৬) নামের এক কিশোরকে আটক করেছে মতিহার থানার ওসি (তদন্ত) ওলিউর রহমান ও সঙ্গীয় ফোর্স। আটককৃত হৃদয় একই থানার আলমের মোড় এলাকার আরমান আলীর ছেলে। তবে পালিয়েছে ওই এলাকার সাইদারের ছেলে রাজ (১৬) নামের এক ধর্ষক কিশোর। ধর্ষিতা কিশোরী মতিহার থানাধিন ধরমপুর এলাকার আলমের কণ্য। তার বাবা পেশায় একজন রাজমিস্ত্রি।

ধর্ষিতা কিশোরী জানায়, বুধবার সন্ধা সোয়া ৭টার দিকে মতিহার থানাধিন আলমের মোড় এলাকায় তার নানা বাড়ি থেকে ধরমপুর দক্ষিন পাড়া তার নিজ বাড়িতে ফিরছিলো। পথিমধ্যে ফুরির লিচু বাগানে পৌঁছালে তার পেছন থেকে মুখ আটকে ধরে রাজন। এসময় রাজনের বন্ধু হৃদয় তাকে জোর পূর্বক বিবস্ত্র করে তারা কিশোরীকে ধর্ষণ করে। এসময় কিশোরীর চিৎকারে আশপাশের লোকজন জড়ো হলে ধর্ষক দুই কিশোর পালিয়ে যায়। সেখানে ফুরি নামের এক মহিলা তার গায়ের ওড়না কিশোরীকে পরিয়ে দেয়।

আরও পড়ুন:
বাসের ধাক্কায় পা হারালেন ভ্যানচালক
বিষপানে এক যুবকের মৃত্যু

ধর্ষিতার মা রেশমা জানায়, দুইমাস যাবত আমার মেয়েকে উত্যক্ত করে আসছিলো রাজন ও হৃদয়। আমি তাদের মা-বাবাকে একাধিকবার জানিয়েছি। কিন্ত আমরা গরিব বলে তাঁরা উল্টা আমাকেই নানা ধরনের আজেবাজে কথা শুনিয়ে তাড়িয়ে দিয়েছে।

তিনি আরো বলেন, বুধবার সন্ধায় আমার মেয়েকে ধর্ষণ করে রাজন ও হৃদয়। আমি তাদের মা-বাবার নিকট বিচার চাইতে গেলে তারা আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। কোন উপায় না দেখে মতিহার থানার মামলা করি।

মতিহার থানার (ওসি) তদন্ত ওলিউর রহমান জানায়, ধর্ষিতা কিশোরীর থানায় স্বিকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দিয়েছে। এ বিষয়ে ধর্ষিতার মা বাদি হয়ে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন। মতিহার থানার মামলা নং-৩১, তাং-১৯-০৯-২০১৯, ধারা: ৯(১)।

তিনি আরো বলেন, এ মামলায় রাতভর অভিযান চালিয়ে ধরমপুর এলাকা থেকে হৃদয় নামের এক কিশোরকে আটক করা হয়েছে। তবে এ মামলার প্রধান আসামী ধর্ষক রাজন পালিয়েছে। তাকে আটকের চেষ্টা চলছে। পাশাপাশি ধর্ষিতা কিশোরীর শারীরিক পরিক্ষার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের (ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস) ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে বলেও জানান (ওসি) তদন্ত।

সেপ্টেম্বর ১৯, ২০১৯ at ২২:৩৫:৩০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আহা/আক/এমআর/কেএ