রাজধানীর গুলিস্তান, ফকিরেরপুল ও বনানীর চারটি ক্যাসিনোতে (জুয়ার আসর) অভিযান চালিয়ে সেগুলো সিলগালা করে দিয়েছেন র্যাব।
অভিযানের সময় এসব ক্লাব থেকে টাকা, জুয়ার সরঞ্জাম, মদ, বিয়ার ও অন্যান্য মাদকসহ ১৮২ জন আটক হয়।
বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিকাল থেকে মধ্যরাত পযন্ত ক্যাসিনোতে অভিযান, অভিযান পরিচালনা করে র্যাব-৩ ও ১।
আটককৃতদের ভ্রামমাণ আদালতে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়। অভিযানে মেঘা ও লিজা নামের দুই তরুণী আটক হলেও পরে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
ক্যাসিনোতে তারা ডিলার পদে চাকরি করেন বলে জনিয়েছেন। ক্যাসিনো গুলোতে দুই শিফটে জুয়ার আসর বসত।
সিলগালা ক্লাবগুলো হল ফকিরাপুলের ইয়ংমেনস ক্লাব, ঢাকা ওয়ান্ডারাস ক্লাব, গুলিস্তানের মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়াচক্র এবং বনানীর আহমদ টাওয়ারের গোল্ডেন ঢাকা বাংলাদেশ।
এসব নিয়ন্ত্রণ করতেন ক্ষমতাসীন দলের প্রভাবশালী নেতারা। তবে যুবলীগের ঢাকা মহানগরের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া ইয়ংমেনস ক্লাবে ক্যাসিনো চালাতেন।
তার ক্লাব থেকে আটক করা হয় ১৪২ জনকে। রাতে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়াচক্র থেকে আটক হয় ১৪০ জন। তাদের বেশীরভাগই জুয়ারী।
রাত সাড়ে ১২টার দিকে অভিযান শেষ করে র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম বলেন, ক্রীড়া সংগঠনের আড়ালে এসব ক্লাবে গড়ে তোলা হয়েছে ক্যাসিনো এবং মাদকের আখড়া।
এই সরকার মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি জারি করেছে। মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চলছে। এসব ঘটনার সঙ্গে যারাই জড়িতে হোক, তাদের ছাড় দেওয়া হবে না।
সেপ্টেম্বর ১৯, ২০১৯ at ১৩:৩১:৩০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আহা/আক/ভোকা/এএএম