শিশু শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় দুই জনের মৃত্যুদণ্ডাদেশ

খুলনা মহানগরীর খালিশপুর থানাধীন বাস্তহারা কলোনিতে তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী আফসানা মিমিকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর হত্যার মামলায় দুই জনকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ ও এক লাখ টাকা করে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিকালে খুলনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক মোহা. মহিদুজ্জামান এই রায় ঘোষণা করেন।

একইসঙ্গে মামলার অপর চার আসামিকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে। রায় ঘোষণার সময় সব আসামি কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। হত্যাকাণ্ডের ১০ বছর পর এই রায় দেওয়া হলো।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- বাস্তহারা কলোনির ৯ নম্বর রোডের, ৫৭৮ নম্বর বাড়ির বাসিন্দা মৃত আব্দুল কাদের হাওলাদারের ছেলে মো. বাবুল হাওলাদার ওরফে কালা বাবুল (৩৮) ও ৯ নম্বর রোডের ৫২০ নম্বর বাড়ির বাসিন্দা সাদেক হোসেনের ছেলে এমদাদ হোসেন (৩৭)।

আরও পড়ুন:
ভিসির পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন
ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নির্বাচন

খালাস পেয়েছেন- বাস্তুহারা কলোনির ১০ নম্বর রোডের ৫৫৬ নম্বর বাড়ির বাসিন্দা মোজাফ্ফর আহমেদের ছেলে মো. আশা মিয়া (২২), ৪ নম্বর রোডের বাসিন্দা মো. আব্দুল বাশার হাওলাদারের ছেলে মো. জাহাঙ্গীর আলী (২৪), ১১ নম্বর রোডের বাসিন্দা মৃত ফজলুর রহমানের ছেলে মো. জাহিদুল ইসলাম ওরফে জাহিদ (৪০) ও ৭ নম্বর রোডের ৩৪২ নম্বর বাড়ির বাসিন্দা আব্দুল মোতালেব হাওলাদারের ছেলে মো. নজরুল ইসলাম (৩৫)।

মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী স্পেশাল পিপি ফরিদ আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ২০০৯ সালের ১৫ নভেম্বর রাত ৭টার দিকে খালিশপুর থানাধীন বাস্তহারা কলোনির ৯ নম্বর রোডের ৪৯৮ নম্বর বাড়ির বাসিন্দা মো. ইমাম হোসেনের শিশু কন্যা আফসানা মিমি ঝালমুড়ি কিনতে গিয়ে নিখোঁজ হয়।

পরে শিশুর বাবা রাতেই খালিশপুর থানায় এ ঘটনায় একটি জিডি করেন। পর দিন বিকাল ৩টার দিকে মাদ্রাসার খাদেম কুদ্দুস আফসানা মিমির লাশ বাস্তহারা দিঘিতে দেখতে পান এবং তার বাবাকে খবর দেন।

এ ঘটনায় ইমাম হোসেন বাদী হয়ে অজ্ঞাতদের আসামি করে খালিশপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। তবে ইমাম হোসেন এজাহারে উল্লেখ করেন, এলাকার কালা বাবুল, কাদের ও এমদাদসহ অন্যান্যরা তার মেয়ে আফসানা মিমিকে উত্যক্ত করতো।

২০১০ সালের ২৩ মার্চ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা খালিশপুর থানার অফিসার ইনচার্জ আবু মোকাদ্দেশ আলী আদালতে ছয় জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন। মামলায় ১৮ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৩ জন সাক্ষ্য প্রদান করেন।

বাদীপক্ষে মামলা পরিচালনাকারী আইনজীবী মো. মোমিনুল ইসলাম বলেন, ‘রায়ে আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত হয়েছে।’

মামলার বাদী মো. ইমাম হোসেন রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি এ রায় দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি জানান। আসামিপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন পারভেজ আলম খান আব্দুল লতিফ ও মনজুর আহমেদ।

সেপ্টেম্বর ১৯, ২০১৯ at ১২:১৮:৩০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আহা/আক/লোস/এএএম