ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার গাজনা ইউনিয়নের গাজনা বাজারে অবস্থিত সর্বজনীন দুর্গা মন্দির। মন্দিরটি পরানো হলেও নিদির্ষ্ট কোন প্রাচির বা সিমানা নাই।
মন্দির ৫শতাংশ জমির মালিক হলেও অন্যদের দখলে কিছু অংশ। মন্দির কমিটি স্থানীয় ভাবে ও শালিসের মাধ্যমে চেষ্টা করেও জায়গা উদ্ধার করতে না পারায় জেলা প্রশাসক বরাবরে আবেদন করেন ।
আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সরেজমিনে তদন্তপূর্বক বিধি মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশক্রমে অনুরোধ করেন জেলা প্রশাসক উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি)কে।
১৫ জুলাই ২০১৯খ্রিঃ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি)কে নির্দেশ দিলেও এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তাঁর কোন কার্যক্রম দৃর্শ্যমান নয়।
জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ পত্র থেকে জানা যায় উপজেলার গাজনা মৌজার হাল ৩২১৮-৩২৯৫ নম্বর দাগের ৫ শতাংশ জমি মন্দিরের নামে রেকর্ড ভুক্ত রয়েছে।
রেকর্ড ভুক্ত জমিতেই পুরাতন দুর্গা মন্দিরটি প্রতিষ্ঠিত। দীর্ঘ দিন স্থানীয় সনাতন ধর্মাবলীগন দুর্গা পূজো করে আসছেন। নিদির্ষ্ট কোন প্রাচির না থাকায় স্থানীয় দু’ব্যাক্তি আধাপাকা ঘর করে ভোগ দখলে আছেন।
মন্দির কমিটি মন্দিরের জায়গা দাবী করে দখল মুক্ত করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি)র দপ্তরে সহযোগিতা চেয়েও কোন কজের কাজ হয় নাই। দাবী মন্দির কমিটির।
১৫ মে ২০১৯খ্রিঃ মন্দিরের সভাপতি সাধারন সম্পাদক মন্দিরের জায়গা থেকে অবৈধ দখল মুক্ত করতে জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন করেন। ডকেট নং ৭১৩৫। ১৫ জুলাই ২০১৯ খ্রিঃ তারিখে ০৫.১২.২৯০০.০১৪.১৪.০০৩.১৯-১০৪১/৩ নম্বর স্মারকে মন্দিরের জমি উদ্ধারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনে নির্দেশ দেন জেলা প্রশাসক উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি)কে।
সরজমিনে এ প্রতিনিধি গেলে দেখেন মন্দিরের পাশে আধাপাকা দুটি ঘর রয়েছে। এ বিষয়ে উপজেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহসভাপতি রতন কুমার বিশ্বাসকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি জানান ১৯৮৭ সালে মন্দিরের ৫ শতাংশ জমির পরিধি নির্নয় করে অবৈধ দখল মুক্ত করার চেষ্টা করা হয়েছে কিন্ত দখল মুক্ত করা সম্ভব হয় নাই।
গাজনা বাজার ব্যবস্থপনা কমিটির সভাপতি মো.মোতালেব হোসেন ফকিরের মোবাইলে জানতে চাইলে তিনি বলেন সরকারী পেরিফেরিতে তাদের দখল আছে কিন্ত মন্দিরের নামে রেকর্ড হয়েছে, সিমানা মেপে দেখা হয় নাই।
মধুখালী উপজেলা র্নিবাহী কর্মকর্তা মো.মোস্তফা মনোয়ারের কাছে তাঁর মোবাইলে জানতে চাইলে তিনি জানান জেলা প্রশাসকের আদেশের অনুলিপি পেয়েছি। বিষয়টি দেখার জন্য উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভুমি)কে দায়ীত্ব দিয়েছেন। উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) শান্তা রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
সেপ্টেম্বর ১৭, ২০১৯ at ১৪:৫৩:৩০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আহা/আক/এসআরএস/এএএম