যশোরের চৌগাছায় দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী ইয়ামিন (৭) বলাৎকারের শিকার হওয়ার ১৬ দিনের দিন গতকাল রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বলাৎকারী ফিরোজ নিজেই আদালতে আত্মসমর্পন করেছে। আত্মসমর্পণের এই খবর আদালত থেকে চৌগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ রিফাত খাঁন রাজিবকে জানানো হয় বলে চৌগাছা থানা সূত্রে জানা যায়।
উল্লেখ্য খড়িঞ্চা গ্রামের ইমামুল হোসেনের ছেলে ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র ইয়ামিন (৭) গত শুক্রবার ৩০ আগষ্ট বলৎকারের শিকার হয় একই গ্রামে এবং পাশাপাশি বাড়ি শরিফুল ইসলামের ছেলে ও চৌগাছা সরকারি কলেজের এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ফিরোজের দ্বারা।
আরও পড়ুন:
অমিতসহ তিন বিএনপি নেতা কারাগারে, মির্জা ফখরুলের নিন্দা
যুবককে প্রকাশ্যে ছুরি মারা মঈনুর সঙ্গীসহ গ্রেফতার
বলৎকারের শিকার হওয়া শিশুটির পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছিলো, সাত বছরের শিশু ইয়ামিন দুপুরে তাদের বাড়ির পাশে একটি পুকুরে গোসলের জন্য যাচ্ছিলো। এসময় ফিরোজ শিশুটিকে ভালিয়েভুলিয়ে ডেকে নিয়ে মাঠে পাট ক্ষেতে নিয়ে তার উপর যৌন ক্ষুদা মেটাতে শারীরিকভাবে নির্যাতন করে। এতে শিশুটির অনেক রক্তক্ষরণ হয়। এই বিষয়টি শিশুটি তার বাড়িতে ফিরে এসে মাকে বললে তারা চিকিৎসার জন্য চৌগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক মঞ্জুরুল ইসলাম জানান শিশুটি অধিক রক্তক্ষরণ এবং শারীরিক ক্ষতের শিকার হওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে যশোর মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়।
এ ঘটনায় চৌগাছা থানায় শিশুটির পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ দায়েরের পর অভিযুক্ত ফিরোজকে আটকের জন্য চেষ্টা চলছে বলে থানা সূত্রে জানা যায়। এ ব্যাপারে চৌগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ রিফাত খাঁন রাজিব ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছিলেন। কিন্তু এতোদিনেও আসামী ফিরোজ আটক হয়নি। আরাম-আয়েশে দিন কাটাচ্ছিলো এই ফিরোজ।
সেপ্টেম্বর ১৬, ২০১৯ at ২১:০৭:৫৩ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আহা/আক/এমআই/এসজে