দাসিয়ারছড়ায় নবনির্মিত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রকল্পে ব্যাপক অনিয়ম!

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উজেলার বিলুপ্ত ছিটমহল দাসিয়ার ছড়ায় নব নির্মিত ৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চলতি বছরের বরাদ্দকৃত স্লিপ, প্রাক ও ক্ষুদ্র মেরামত প্রকল্পে ব্যাপক অনিয়ম ও প্রকল্পের নামমাত্র কাজ করে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে প্রাধান শিক্ষকদের বিরুদ্ধে। ওই ৩ টি বিদ্যালয়ের নির্মানাধীন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান প্রকৌশলী বিভাগ থেকে জামানত এখনো ফেরত পায়নি।

অনুসন্ধানে জানা যায়, দাসিয়ারছড়া ছিটমহল মুক্তি কার্যকরের পর প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর দাসিয়ারছড়ার কোমলমতি শিশুদের মাঝে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিতে স্থাপন করেন, কালিরহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বানিয়াটারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কামালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নামের ৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয়। যাতে ২০১৮ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে পাঠদান কর্যক্রম শুরু করে। কিন্তু চলতি বছরের ক্ষুদ্রমেরামতসহ ৩টি বিদ্যালয়ের প্রত্যেক বিদ্যালয়কে ২ লক্ষ ৪০ হাজার রবাদ্দ দিলেও বরাদ্দকৃত টাকা রং করা ও কয়েকটি চেয়ার কেনাসহ অনন্য সামগ্রী ক্রয় দেখিয়ে করে নামমাত্র কাজ করে মনগড়াভাবে কাগজে কলমে কাজ শতভাগ দেখিয়ে শিক্ষা অফিসে জমা দিয়ে সে সময়ের ভারপ্রাপ্ত উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার রিয়াজুল ইসলামের সাথে যোগসাজশ করে ফায়দা লুটিয়ে নিচ্ছেন।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, কামালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনের সামনের দিকে নিচের প্লাস্টার ধ্বসে গাথুনির ইট বেড়িয়ে এসেছে। প্রতিষ্ঠানে নেই কোন নলকুপ, ফলে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা খাওয়ার জন্য বোতলে করে বাড়ী থেকে পানি নিয়ে আসে।
আরও পড়ুন:
৬ দফা দাবিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় ঘেরাও
আইনজীবীকে লাঞ্ছিতের অভিযোগে উপজেলা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মামলা

কামালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সভাপতি জুলহাস জানান, প্রধান শিক্ষক বলেছেন ৭৫ হাজার টাকা বাজেট এসেছে কিছু কাজ করেছি বিলে সই করে দিন আমি সই করে দিয়েছি। ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলমগীর কবির লিটন জানান, নিয়ম অনুযায়ী আমি আমি প্রতিষ্ঠানের ক্ষুদ্র মেরামতের কাজ শেষ করেছি।

এ ব্যাপারে জানতে উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার রিয়াজুল ইসলামের মুঠোফেনে বার বার কল দিলেও তিনি ফোনটি রিসিভ করেননি।

সাবেক ভারত-বাংলাদেশ ছিটমহল বিনিময় সমন্বয় কমিটির দাসিয়ারছড়া ইউনিটের সভাপতি আলতাফ হোসেন জানান, আমি যতটুকু দেখেছি ও জানি তিনটি প্রতিষ্ঠানে অনেক বরাদ্দ এসেছে তা থেকে শুধু মাত্র আগের রংরের উপর একটু রং ও কয়েকটি টেবিল চেয়্যার কিনেছে।

এ ব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আখতারুল ইসলাম জানান, আমি নতুন এসেছি বিষয়টি জানলাম সরেজমিনে গিয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সেপ্টেম্বর ১৬, ২০১৯ at ১৭:০৫:৫১ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আহা/আক/এজিএল/এসজে