ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ডেঙ্গু বিস্তারের কারণ ও করণীয় শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার বেলা ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরমাণু বিজ্ঞানী ড. ওয়াজেদ মিয়া বিজ্ঞান ভবনের গ্যালারি রুমে সেমিনারটি অনুষ্ঠিত হয়।
সেমিনারে বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. তপন কুমার জোদ্দারের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন-উর-রশিদ আসকারী, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ শাহিনুর রহমান, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোঃ সেলিম তোহা, ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলোজি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোঃ মমতাজুল ইসলাম। শীর্ষক সেমিনারে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মোঃ আনোয়ার খসরু পারভেজ। সেমিনারে সঞ্চালনা করেন বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রভাষক রবিউল ইসলাম।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন প্রক্টর প্রফেসর ড. মোঃ মাহবুবর রহমান, প্রফেসর ড. মোঃ জাকারিয়া রহমান, প্রফেসর ড. মোঃ শাহজাহান মন্ডল, প্রফেসর ড. মোঃ মিজানুর রহমান, প্রফেসর ড. মোঃ আনোয়ারুল হক, ডাঃ নজরুল ইসলাম, মোঃ আতাউর রহমান, ড. নওয়াব আলী খানসহ বিভাগের ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ।
আরও পড়ুন:
ফল ব্যবসায়ীদের কল্যাণে কাজ করতে চান মিঠু খন্দকার
এইচএসসি পাসে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরে চাকরি
এসময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. রাশিদ আসকারী বলেন, এটি নিছক কোনো সচেতনতা বৃদ্ধি মূলক সেমিনার বা এডিস মশার বংশ বিস্তারের জন্য বাড়ির চারপাশ পরিষ্কার করার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। বিভিন্ন মাধ্যমে সচেতনতা মূলক আলোচনা আমরা শুনছি বা দেখেছি। কিন্তু এ সেমিনারের তাৎপর্য আমার ক্ষুদ্র জ্ঞানে যতটুকু বুঝায় তা অন্য জায়গায় স্পর্শ করে। এই এডিস মশা বাংলাদেশের ১২৩ প্রজাতির মধ্যে একটি। বিশ্বে অনেক দেশে এ মশার প্রভাব বা তার বিস্তার এতো বেশি যার তুলনায় এডিস মশা আমাদের কাছে ক্ষুদ্র শত্রু। একটি এডিস মশা তার সল্পজীবনে মোট ৫ বারে ৫০০ টা ডিম বিস্তার ঘটায়। পরিবেশগত ভাবে এ সকল ডিম থেকে এডিস মশার উপদ্রব ঘটে। ১৯৪৩ সালে এ এডিস মশা থেকে ডেঙ্গু হয় তার আবিষ্কার ঘটে । ডেঙ্গুর প্রভাবটা এখন শুধু আমাদের দেশে নয়, এটা একটি গ্লোবাল সমস্যা হিসেবে দাড়িয়েছে। গবেষকগণ ডেঙ্গু নিধনের ব্যাপারে তাঁদের গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছে। আমরা আশাবাদী খুব অল্প সময়ের মধ্যে ডেঙ্গু নিধনে বৈজ্ঞানিক একটি আঘাত হানবে। এর পাশাপাশি আমাদের সচেতনতাও বৃদ্ধি করতে হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ শাহিনুর রহমান বলেন, বাড়িতে মাছ না থাকলে যেমন বিড়াল থাকে না ঠিক তেমনি এডিস মশা বিস্তারের জায়গা না থাকলে এডিস মশা বংশ বিস্তার করবে না। এজন্য প্রথমত সচেতনতার সৃষ্টি করতে হবে কোথায় কোন পরিবেশে এডিস মশা বংশ বিস্তার করে সেই জায়াগাগুলোকে আগে থেকে পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন করতে হবে। বাঁচতে হলে যার যার বাড়ির আশে পাশে নিজ দায়িত্বে পরিস্কার করতে হবে এবং ডেঙ্গু প্রতিরোধ ও নিরাময়ে জনসচেতনার সৃষ্টি করতে হবে।
অপর বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোঃ সেলিম তোহা বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশের মানুষ আতঙ্কে আছে ডেঙ্গু সমস্যা নিয়ে। তাই ডেঙ্গু প্রতিরোধ সম্পর্কে জনসম্পৃক্ততা ও জনসচেতনতা বাড়িয়ে আমরা এই বৈশিক চ্যালেঞ্জকে মোকাবেলা করতে পারবো। তিনি বলেন, আমরা অনেক বড় বড় চ্যালেঞ্জকে মোকাবেলা করে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি।
সেপ্টেম্বর ১৬, ২০১৯ at ১৬:৩৮:২২ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আহা/আক/টিএইচ/এসজে