পুলিশকে দক্ষ বাহিনী হিসাবে গড়ে তুলতে পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, পুলিশকে দক্ষ বাহিনী হিসাবে গড়ে তুলতে পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। একই সঙ্গে পুলিশের দক্ষতা বাড়াতে মানসম্মত প্রশিক্ষণ যথাযথ পদায়ন ও প্রণোদনার ব্যবস্থা করেছে সরকার। বর্তমান সময়ে অপরাধের ধরন প্রতিনিয়ত পরিবর্তন হচ্ছে। প্রযুক্তি ব্যবহার করে গুজব রটিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করছে। এদের আইনের আওতায় আনতে হবে।

আজ সকালে রাজশাহীর সারদা পুলিশ একাডেমীর প্যারেড গ্রাউন্ডে ৩৬তম বিসিএস পুলিশ ক্যাডারের শিক্ষানবীস সহকারী পুলিশ সুপারদের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ পরিদর্শন শেষে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রশিক্ষণ সমাপ্তকারীদের উদ্যেশ্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জনগণের বন্ধু হিসাবে নিজেকে গড়ে তুলবেন নিজ দায়িত্ব সততা ও নিষ্ঠার সাথে পালন করবেন। দেশের মানুষের সেবক হিসাবে কাজ করবেন। পুলিশ বাহিনী নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করছে বলেই সন্ত্রাস, মাদক ও জঙ্গিবাদ দমন সম্ভব হয়েছে। জঙ্গি ও মাদকের ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করছে পুলিশ। এই অভিযান অব্যাহত থাকবে। আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। এ অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে হবে।

গত ১০ বছরে পুলিশের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য নেওয়া বিভিন্ন কার্যক্রমের উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ পুলিশে ইতোমধ্যে প্রায় ৪৯ হাজার ২০০ পদ সৃজন করা হয়েছে। বর্ধিত জনবলের সঙ্গে প্রয়োজনীয় যানবাহন ও সরঞ্জামাদি সরবরাহ করা হচ্ছে। গাজীপুর ও রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ গঠন করা হয়েছে। জঙ্গি ও সন্ত্রাস নির্মূলে পুলিশের ‘এন্টি টেরোরিজম ইউনিট’, ‘ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ’, ‘পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই), ট্যুরিস্ট পুলিশ, নৌ পুলিশ এবং ২টি স্পেশাল সিকিউরিটি অ্যান্ড প্রটেকশন ব্যাটালিয়ন গঠন করা হয়েছে। ‘গার্ড অ্যান্ড প্রটেকশন পুলিশ’ গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এসআই ও সার্জেন্ট পদকে তৃতীয় শ্রেণি থেকে দ্বিতীয় শ্রেণি এবং দ্বিতীয় শ্রেণির ইন্সপেক্টর পদকে প্রথম শ্রেণি পদে উন্নীত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন:
মমতাকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরামর্শ বিজেপি বিধায়কের
কক্সবাজারে মার্কিন প্রতিনিধি দল

শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা প্রদত্ত আইজিপি’র র‌্যাঙ্ক ব্যাজ পুনঃপ্রবর্তন করে আইজিপি’র পদকে সিনিয়র সচিব পদমর্যাদায় উন্নীত করা হয়েছে। ইন-সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে আরও ৪টি ট্রেনিং সেন্টার স্থাপনের কাজ চলছে। ঝুঁকি ভাতা প্রবর্তন, ৯৯৯, বিডি পুলিশ হেল্পলাইন এবং অনলাইন পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্ভিস চালু, পুলিশের বিভিন্ন স্তরে নারীদের নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, ১৯৭৪ সালে জাতির পিতা সর্বপ্রথম পুলিশে নারীদের নিয়োগ দেন। পুলিশের আবাসন, রেশন, চিকিৎসা সুবিধা বৃদ্ধি, উন্নত প্রশিক্ষণ, লজিস্টিক, যানবাহন, প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণসহ বিভিন্ন উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন অব্যাহত রেখেছি। ২০০৯ সালে বর্তমান সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে ধাপে ধাপে ৯৫ হাজার ১৫৬ জন পুলিশ সদস্যকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। অতি সম্প্রতি বাংলাদেশ পুলিশে প্রায় দশ হাজার কনস্টবল নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এই নিয়োগ প্রক্রিয়াটি অত্যন্ত স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতার সঙ্গে সফলভাবে সম্পন্ন হয়।

এময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন এমপিবৃন্দ পুলিশ প্রধান জাবেদ পাটোয়ারীসহ সরকারি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা।

 সেপ্টেম্বর ১৫, ২০১৯ at ১৩:০৫:৩৬ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আহা/আক/এসজে