যশোরের চৌগাছা সরকারি হাসপাতালে ছয় ঘন্টায় আট জন নতুন ডেঙ্গুরোগী ভর্তি হয়েছেন।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, দুপুর ২টার পর থেকে সন্ধা ৭টা পর্যন্ত আট জন রোগী প্রচান্ড গায়ে জ্বর নিয়ে হাসপাতালে আসেন। চিকিৎসকের পরামর্শে ৮জন রোগীকেই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
নতুন সনাক্ত হওয়া ৮জন রোগী হলেন, পলুয়া গ্রামের মৃত আবুল মিয়ার মেয়ে রুমা খাতুন, জিয়েলগাড়ির ইব্রাহিমের স্ত্রী নাছিমা বেগম, বহিলাপোতার কবিরের মেয়ে মরিয়ম, টেঙ্গুরপুরের কাদেরের স্ত্রী বেবি বেগম, ঝিকরগাছা বালিয়া গ্রামের শাহিনের মেয়ে সুরাইয়া, টেঙ্গুরপুরের আমিরের স্ত্রী সূর্য বিবি, যশোর মুল্লাডাঙ্গার আলামিনের স্ত্রী রোকেয়া বেগম, জগীদেশপুরের মিজানুরের স্ত্রী নারগিস বেগম।
এ ছাড়া শুক্রবার আরো ৩২ জন রোগী কে এই সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। প্রায় অর্ধ শত ডেঙ্গু রোগী এই সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
দিন দিন নতুন নতুন ব্যক্তি ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হবার ফলে সাধারণ মানুষের মাঝে এক প্রকার ভয় কাজ করছে। অনেকে সামন্য জ্বর হলেও ডেঙ্গুর ভয়ে হাসপাতালে ভিড় করছেন।
সরেজমিন আজ সন্ধায় হাসপাতালটিতে যেয়ে দেখা যায়, পুরুষ ওয়ার্ডের রোগী তুলনা মূলক কম আছে, তবে শিশু ওয়ার্ড ও মহিলা ওয়ার্ডের বেড ও মেঝেতে কোন প্রকার জায়গা খালি নেয়।
শিশু ওয়ার্ড থেকে হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটার এবং মহিলা ওয়ার্ডের মেঝে একটু দাঁড়ানোর বিন্দু পরিমানে জায়গা খালি নাই। গরমে রোগী সহ সাধারণ মানুষের জিবন যেনো যায় যায়।
নাম প্রকাশ না করা শর্তে এক সিনিয়ার নার্স বলেন, রোগীর চাপে মেঝেতে এক বিন্দু জায়গাও নেই, কতো জন রোগী এই মেঝেতে আছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের দুই জন নার্সের দ্বায়িত্বে ষাট জন রোগী আছে। তবে রাত্রে আরো রোগী বাড়তে পারে।
তবে জরুরী বিভাগ থেকে জানা যায়, হাসপাতালটি চিকিৎসা সেবাই মডেল হবার কারণে শুধু মাত্র চৌগাছা উপজেলার রোগী নয় পাশের উপজেলা মহেশপুর, কালিগঞ্জ, কোটচাঁদপুর, ঝিকরগাছা ও শার্শা উপজেলার শত শত রোগীরা চিকিৎসার জন্য এই হাসপাতালে ভিড় জমাচ্ছেন।
তবে অনেকের অভিযোগ রোগী মাত্রারিক্ত বেশি হবার পরে চিকিৎসাক ও নার্স সংকট চরমে।
সেপ্টেম্বর ১৪, ২০১৯ at ২৩:৪৩:২৯ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আহা/আক/মই/এএএম