সিনিয়রদের ব্যর্থতার দিনে ঝলসে ওঠা আফিফ যখন টাইগারদের গর্জে ওঠার কোনো লক্ষ্মণই দেখছিলেন না, তখনই ব্যাটটা শক্ত হাতে ধরেছিলেন। চরম বিপর্যয়ের মুখেও যতটা শক্তি ঢেলে দেয়া যায়- এমনি আবেগে ঠাসা ছিল ভেতরটা। আর সে চ্যালেঞ্জের ফলটাও পেলেন হাতে নাতে।
ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক ম্যাচেই দলকে জয় এনে দিলেন ১৮ বছর বয়সী টগবগে এই তরুণ। মুহূর্তটি ছিল হয়তো তার খেলোয়াড়ি জীবনের ঐতিহাসিক ঘটনা। প্রবল মধুর আবেগে থর থর করে কাঁপছিল তার ভেতরটা। কিন্তু গল্পটা সেখানে শেষ হয়নি। ইতিহাসটা লেখা হলো খানিকটা পরে।
খেলা শেষে যখন বিজয়ের আবেগে উড়ছে সবাই, তখন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন এগিয়ে আসেন তার দিকে। ফোন এগিয়ে কথা বলতে বলেন। ফোনের ওপাশের কণ্ঠস্বর শুনে আফিফের যেন অবিশ্বাস্য মনে হলো। প্রধানমন্ত্রী তাকে অভিনন্দন দিচ্ছেন! মুখে তার কথা সরছিল না।
রবীন্দ্রনাথের দৃষ্টিতে সব আনন্দের গভীরেই থাকে লুপ্ত কষ্ট, আর সব হাসির মধ্যেই থাকে লুকায়িত কান্না। সেটাই হলো- মমতাময়ী প্রধানমন্ত্রীর অভিনন্দনের বৃষ্টি তাকে ভিজিয়ে দিল। আবেগের চাপ সামলাতে না পেরে কেঁদেই ফেললেন আফিফ। শুধু মিরপুরের শেরে-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামই নয়, সে কান্নার সাক্ষী হয়ে রইলো গোটা বিশ্বই।
সেপ্টেম্বর১৪, ২০১৯ at ০৮:৩১:১৮(GMT+06)
দেশদর্পণ/আহা/ আক/ভোকা/ইআ