রাজশাহীতে ফয়সাল আলী সাগর (১৭) নামের এক কলেজছাত্রকে আটকের পর দাবিকৃত দুই লাখ টাকা না পেয়ে, তাকে নির্যাতন করে মাদক মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ উঠেছে নগরীর চন্দ্রিমা থানার পাঁচ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে।
এ ঘটনা তুলে ধরে ভুক্তভোগী কলেজছাত্রের মা রোকসানা পারভিন পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন। আভিযুক্ত পুলিশ সদস্যরা হলেন, চন্দ্রিমা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শাহীনুর ইসলাম, একই থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) সাইফুল ইসলাম, মামুনুর রশীদ, কনস্টেবল রেজাউল করিম ও রায়হান ফকির।
ভুক্তভোগী কলেজছাত্র ফয়সাল আলী সাগর নগরীর চন্দ্রিমা থানাধিন শিরোইল কলোনী স্কুল মাঠ এলাকার সাহেব আলীর ছেলে। সে নগরীর বরেন্দ্র সরকারি মহাবিদ্যালয়ে ব্যবসা শাখার এইচএসসি প্রথম বর্ষের ছাত্র।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে , শনিবার (০৭ সেপ্টেম্বর) খেলাধুলা শেষে সন্ধ্যা সাতটার দিকে বাড়ি ফিরছিল সাগর। এসময় শিরোইল কলোনির ৩ নম্বর গলির খোদাবক্স মোড়ের কাছে কর্তব্যরত পুলিশের ওই পাঁচ সদস্যরা তার পথ রোধ করে ও দেহ তল্লাশি করেন।
এরপর তাকে আটকে রাখা হয়। অকারণে আটকে রাখায় বিরক্ত হয়ে প্রতিবাদ করে সাগর। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে এসআই শাহীনুর ইসলাম শাহীন সগরকে মাটিতে ফেলে মারতে থাকেন ও হুমকি দেন।
এরপর রাত ৯টার দিকে তাকে থানায় নিয়ে আবারও নির্যাতন চালায় অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যরা। এসময় হেরোইন মামলায় চালান দেওয়ার ভয় দেখিয়ে সাগরকে বলা হয়, পরিবারের কাউকে দুই লাখ টাকা নিয়ে চন্দ্রিমা থানায় আসতে বল।
সাগর তাদের প্রস্তাব অস্বীকার করায় তার বিরুদ্ধে মাদক মামলা দিয়ে কোর্টের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়। সাগরকে ছাড়ানোর জন্য ও ন্যায় বিচারের আশায় তার মা রোকসানা পারভিন পুলিশ কর্মকর্তাদের দ্বারে দ্বারে ছুটে বেড়াচ্ছেন।
রোকসানা জানান, তার ছেলে কোন প্রকার মাদক সেবন বা ব্যবসার সঙ্গে জড়িত না। টাকা না দেওয়ায় পুলিশ তাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে জেলহাজতে পাঠিয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আরএমপির মুখপাত্র ও অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার গোলাম রুহুল কুদ্দুস জানান, এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত তার কাছে কোনো অভিযোগ আসেনি। তবে অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
সেপ্টেম্বর ১২, ২০১৯ at ২১:৪৫:৩০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আহা/আক/এমআর/কেএ