সুনামগঞ্জ-৪ আসনের আওয়ামীলীগের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ্ব মতিউর রহমান বলেছেন, উন্নত বিশ্বে বাংলাদেশ আজ একটি মর্যাদার আসনে অধিষ্টিত হতে সক্ষম হয়েছে। দেশের গ্রাম থেকে শহর পর্যন্ত প্রতিটিক্ষেত্রে, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বাসস্থান, চিকিৎসা সেবাসহ যোগাযোগ ব্যবস্থার যে বৈপ্লবিক উন্নয়ন সাধিত হয়েছে যা অন্য কোন সরকারের আমলেই তা সম্ভব হয়ে উঠেনি।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু একটি স্বনির্ভর বাংলাদেশ গঠনের যে স্বপ্ন দেখেছিলেন কিন্তু স্বাধীনতার সাড়ে তিন বছরের মাথায় কিছু বিপদগামী সেনা অফিসার ও স্বাধীনতা বিরোধীচক্র ১৯৭১ সালের ১৫ই আগষ্টের কালো রাতে তাকে স্বপরিবারে হত্যার মধ্যে দিয়ে এদেশের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রাকে বাধাঁগ্রস্থ করেছিল। কিন্তু কোন লাভ হয় নি আর হবেও না। উন্নয়ন হচ্ছে আরো হবে।
তিনি সুনামগঞ্জ জেলাবাসীর ভালবাসায় সিগ্ধ হয়ে তিনি বলেন, সুনামগঞ্জে আওয়ামীলীগেরও সহযোগি সংগঠনের সকল রাজনৈতিক নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধ আছেন এবং আগামীতে স্বাধীনতা বিরোধী যেকোন অপশক্তির ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে শেখ হাসিনার নিদের্শে রুখে দাড়াঁনো সহ লড়াই সংগ্রাম করতে প্রস্তুত রয়েছে বলেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
তিনি দীর্ঘ ৫মাস সুদূর প্রবাস যুক্তরাষ্ট্রে চিকিৎসা শেষে বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সুনামগঞ্জে পৌছালে জেলা যুবলীগের উদ্যোগে শহরের ঐতিহ্যবাহি যাদুঘরের সামনে আয়োজিত সংবর্ধনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সংবর্ধিত অতিথির আলহাজ্ব মতিউর রহমান এসব কথা বলেন।
সুনামগঞ্জ জেলা যুবলীগের আহবায়ক ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব খায়রুল হুদা চপলের সভাপতিত্বে ও জেলা যুবলীগের সিনিয়র সদস্য সুবজ কান্তি দাসের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহসভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব নুরুল হুদা মুকুট, সহসভাপতি রেজাউল করিম শামীম, সহসভাপতি আলহাজ্ব সৈয়দ আবুল কাশেম, সাংগঠনিক সম্পাদক বাবু শংকর চন্দ্র দাস, সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান হাজী আবুল কালাম, তাহিরপুর কয়লা আমদানী কারক গ্রুপের সভাপতি হাজী আলকাছ উদ্দিন খন্দকার, সুনামগঞ্জ জেলা যুবলীগের যুগ্মআহবায়ক খন্দকার মঞ্জুর আহমদ, সুনামগঞ্জ পৌরসভার সাবেক ভারপ্রাপ্ত মেয়র জেলা যুবলীগের সিনিয়র সদস্য নুরুল ইসলাম বজলু, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি দিপংঙ্কর কান্তি দে, সাধারন সম্পাদক আশিকুর রহমান রিপন প্রমুখ।
সেপ্টেম্বর ১২, ২০১৯ at ১৯:১৯:৩০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আহা/আক/এসআই/কেএ