হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারর্দীয় দূর্গা পূজা। আর মাত্র কিছু দিন বাঁকি শারর্দীয় দূর্গা পূজার।
দূর্গা পূজাকে সামনে রেখে পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার পূজা মন্ডপ গুলোতে প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রতিমা শিল্পীরা।
এবছর গলাচিপা উপজেলায় ২৯টি মন্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা গেছে। পূজা উৎসবকে পরিপূর্ণ রূপ দিতে মন্দির গুলোতে চলছে ব্যাপক সাজসজ্জার প্রস্তুতি।
বেশির ভাগ মন্ডপ গুলোতে প্রতিমার কাঠামো মাটির কাজ প্রায় শেষ। শুরু হয়েছে রং তুলি ও সাজসজ্জার কাজও।
আর মাত্র কিছু দিন পর শুরু হবে ৫ দিন ব্যাপী হিন্দু ধর্মের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারর্দীয় দূর্গা পূজা। গলাচিপায় স্থানীয় শিল্পী ছাড়াও বিভিন্ন স্থান থেকে আগত শিল্পীরা এখানে এসে প্রতিমা তৈরি ও রং তুলির কাজ করছেন।
অন্যদিকে প্রতিমার পাশাপাশি পূজাকে জাঁকজমকপূর্ণ করে তুলতে বাদ্যযন্ত্র ঠিক ও তৈরী করতে ব্যস্ত সময় পার করছে ঢাক-ঢোল, কাঁশি, ও বাঁশির কারিগররা।
এ দিকে দেবীকে স্বাগত জানাতে আনন্দ-উৎসব বিরাজ করছে হিন্দু সম্প্রদায়ের সব ধরনের শ্রেণী পেশার নারী-পুরুষের মধ্যে।
প্রতিমা শিল্পী শ্রী জীবন দাস বলেন, মাটির কাজ শেষে হলেই শুরু হবে রং তুলির আঁচড়। প্রতিমাগুলো মনোমুগ্ধকর ও নিখুঁতভাবে ফুটিয়ে তুলতে সর্বোচ্চ মনোযোগ দিয়ে কাজ করছি আমরা, যেন সবার চেয়ে আমার প্রতিমা তৈরির কাজ ভালো হয়। আশা করছি র্নিধারিত সময়ের আগেই শেষ হবে প্রতিমা তৈরীর কাজ।
গলাচিপা উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদ কমিটির সভাপতি মনিন্দ্র পাল ও সাধারণ সম্পাদক তাপস দত্ত বলেন, এ বছর সার্বজনীন ও ব্যক্তিগত মিলিয়ে ২৯টি মন্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হবে। আমরা শারদীয় দূর্গা পূজাকে সামনে রেখে প্রায়ায় সব ধরণের প্রস্তুতি নিয়েছি।
এ ব্যাপারে গলাচিপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আখতার মোর্শেদ বলেন, হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারর্দীয় দূর্গা পূজা। প্রশাসনের পক্ষ থেকে মন্দির গুলোতে নিরাপত্তাসহ শান্তিপূর্ন ভাবে এ উৎসব সম্পূন্ন করার লক্ষে প্রায় সকল প্রস্তুতি নেওয়া হবে।
অন্যান্য বছরের চাইতে এবার ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহন করা হবে। প্রতিটি মন্দিরে পুলিশের পাশাপাশি আনছার ও গ্রাম পুলিশ মোতায়েন করা হবে।
মন্ডপের সংখ্যা বাড়বে না কমবে সেটা এখনো বলা যাচ্ছে না। পূজায় কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটবে না বলে আশা করছেন ওসি আখতার মোর্শেদ।
সেপ্টেম্বর ১১, ২০১৯ at ২০:২৯:২৯ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আহা/আক/সুচ/এএএম