পাবনায় গৃহবধূকে পালা করে ধর্ষণ এবং থানায় তাদের ধর্ষকের সঙ্গে তার বিয়ে দেওয়ার ঘটনার অন্যতম আসামী আওয়ামীলীগ নেতা শরিফুল ইসলাম ঘন্টুকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
ঘন্টু দাপুনিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। তার অফিসেই ওই নারীকে তিন দিন আটকে রেখে ধর্ষণ করা হয় পুলিশ জানান।
পাবনা সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইবনে মিজান জানান, বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে টেবুনিয়া খাদ্যগুদাম এলাকা থেকে মামলার অন্যতম আসামী শরিফুল ইসলাম ঘন্টুকে (৩৫) অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
ঐ খাদ্যগুদামের পেছনে ঘন্টুর অফিস, যেখানে ওই নারীকে তিন দিন আটকে রেখে ধর্ষণ করা হয় বলে পুলিশ প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছে। ঘন্টুর ওই অফিসে কী কাজ হয় সে বিষয়ে পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে কিছু বলতে পারেনি। তবে ঘন্টুর বৈধ কোনো ব্যবসা নেই বলে পুলিশ জানিয়েছে।
ঘন্টুর বিরুদ্ধে এলাকায় মাদক ব্যবসার ও চাঁদাবাজি অভিযোগ রয়েছে। তবে এ বিষয়ে পুলিশের কাছে কোনো অভিযোগ আছে কিনা তা তাৎক্ষণিকভাবে জানাতে পারেননি পুলিশ কর্মকর্তা ইবনে মিজান।
তিন সন্তানের জননী ওই নারীর অভিযোগ, প্রতিবেশী রাসেল আহমেদ ২৯ আগষ্ট রাতে একই গ্রামের আকবর আলীর ছেলে রাসেল আহমেদ চার সহযোগীকে নিয়ে তাকে কৌশলে অপহরণ করে নিয়ে যায়। টানা ৪ দিন অজ্ঞাত স্থানে আটকে রেখে পালাক্রমে ঐ নারীকে ধর্ষণ করে তারা। নির্যাতিত গৃহবধূ কৌশলে পালিয়ে স্বজনদের বিষয়টি জানালে তারা বৃহস্পতিবার (০৫ সেপ্টেম্বর) ভুক্তভোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করেন। মেডিকেল পরীক্ষায় ধর্ষণের আলামতও মেলে। পরে গৃহবধূ নিজেই বাদী হয়ে পাবনা সদর থানায় লিখিত অভিযোগ দিলে পুলিশ রাসেলকে আটক করে। মামলা নথিভুক্ত না করে স্থানীয় একটি চক্রের মধ্যস্থতায় পূর্বের স্বামীকে তালাক ও অভিযুক্ত রাসেলের সঙ্গে বিয়ে দিয়ে পুলিশ ঘটনা মিমাংসা করে দেয় বলে অভিযোগ স্বজনদের।
এ বিষয়ে পুলিশ কর্তৃপক্ষ ওসি ওবায়দুল হককে কারণ দর্শাতে বলেছে। এছাড়া ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে পরে থানায় মামলা নেওয়া হয়। ঘটনা তদন্তের জন্য তিন সদস্যের কমিটি গঠন করেছে পুলিশ।
সেপ্টেম্বর ১১, ২০১৯ at ১৭:৪০:৩০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আহা/আক/এমআর/কেএ