থিম ওমর প্লাজায় নিরাপত্তা কর্মীদের হামলায় সাংবাদিক আহত

রাজশাহী নগরীর নিউ মার্কেট সংলগ্ন থিম ওমর প্লাজার নিরাপত্তা কর্মীরা দৈনিক কালের কণ্ঠ রাজশাহী ব্যুরো প্রধান রফিকুল ইসলামের ওপরে হামলা চালিয়েছে ।

সোমবার (০৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টার দিকে থিম ওমর প্লাজার সামনে এ হামলার ঘটনা ঘটে।

হামলাকারীরা হলেন নগরীর ষষ্ঠীতলা এলাকার সেকেন্দার আলীর ছেলে সাইদ আলী (২৮), কাটাখালীর মাসকাটাদিঘী এলাকার আলতাফ হোসেনের ছেলে মুন্না (২৭), তেরখাদিয়া এলাকার (ভাড়াটিয়া) মৃত আব্দুল মান্নানের ছেলে আব্দুল হাকিম (৪৮), পবার মথুরা এলাকার মতিউর রহমানের ছেলে নাহিদ (২০), বহরমপুর এলাকার গনেষের ছেলে শ্রী সানি (২২) ও আব্দুল হাকিম (৪৮)।

পরে এই হামলার ঘটনার রাজশাহীতে কর্মরত সাংবাদিকরা পাঁচজন হামলাকারীকে থিম ওমর প্লাজার ভেতরে আটকে রাখে। পরে পুলিশ হামলাকারীদের আটক করে শিলোইল পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে যায়।

এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বর্তমানে পুলিশ ফাঁড়ির সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন সাংবাদিকরা।

এ হামলার ঘটনায় রাজশাহীর সাংবাদিক নেতারা বলেন, গত সপ্তাহে থিম ওমর প্লাজার মালিক ওমর ফারুক চৌধুরী এমপি বেশ কয়েকজন সাংবাদিকের সামনে সাংবাদিক রফিকুল ইসলামকে হত্যা ও গুম করে দেওয়ার হুমকি দেয়। এই হামলার ঘটনায় সাংবাদিক নেতারা মনে করছেন, এমপি ফারুক চৌধুরীর হুকুমেই এ হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে তার কর্মচারীরা।

স্থানীয়দের বরাত দিয়ে শিলোইল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মাহফুজুর রহমান জানান, সকালে মাছ কেনার জন্য থিম ওমর প্লাজার মূল গেট থেকে একটু দূরে মোটরসাইকেল রাখেন সাংবাদিক রফিকুল ইসলাম। এ সময় একজন সিকিউরিটি গার্ড এসে সাংবাদিক রফিকুল ইসলামের মোটরসাইকেলের ওপরে রাখা হেলমেটটি নিয়ে যায়। পরে রফিকুল ইসলাম হেলমেট নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে ডিজ্ঞাসা করার এক পর্যায়ে এক সিকিউরিটি গার্ড মুন্না এগিয়ে আসে রফিকুলের দিকে। সিকিউরিটি গার্ড বলে, এখানে গাড়ি রাখা যাবে না। রফিকুল বলে, মাছ কেনা হলেই আমি চলে যাব। সিকিউরিটি গার্ড বলে, এটা তোর বাবার জায়গা ? যে এখানে মোটরসাইকেল রেখেছিস বলেই এলোপাতাড়ি মারধর শুরু করে তারা।

এ সময় কয়েকজন মাছ ব্যবসায়ী ও পথচারীরা এসে রফিকুলকে উদ্ধার করেন। আবার সিকিউরিটি গার্ড সানি, হাকিম ও নাহিদ এসে লাঠি দিয়ে মারধর শুরু করে। এই হামলার ঘটনায় সাংবাদিক নেতারা মনে করছেন, একটি মোটরসাইকেল রাখাকে নিয়ে এই ধরনের মামলার ঘটনা ঘটার কথা না। এমপি ফারুক চৌধুরীর হুকুম না থাকলে এই হামলার ঘটনা ঘটতো না।

আরও পড়ুন:
২৩৮ বোতল ফেন্সিডিলসহ আটক ১
অবসরপ্রাপ্ত বিজিবি সদস্যকে শ্বাসরোধ করে হত্যা

স্থানীয়রা জানায়, থিম ওমর প্লাাজার ফুটপাত দখল করে তৈরি করা হয়েছে মার্কেটটি। ফুটপাত বা রাস্তার পাশে কেউ গাড়ি রাখলে থিম ওমর প্লাজার সিকিউরিটি গার্ডরা দাঁড়াতে দেয় না। প্রায় প্রতিদিনই গার্ডরা রিকশা চালকদের মারধর করে। কেউ কিছু বললে, সিকিউরিটি গার্ডরা বলে, ‘থিম ওমর প্লাজা এমপির। এই রাস্তা ও ফুটপাত এমপির কেনা।

এ বিষয়ে রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি কাজী শাহেদ বলেন, কালের কণ্ঠের সাংবাদিক রফিকুল ইসলামের ওপরে পরিকল্পিতভাবে হামলা চালানো হয়েছে। এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে হামলাকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। রাজশাহী সাংবাদিক সমাজের পক্ষ থেকে এই হামলার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায়। সাংবাদিক ইনিনষি

রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়নের (আরইউজে) এক অংশের সাধারন সম্পাাদক মোঃ আব্দুল আওয়াল বলেন, কথায় কথায় সাংবাদিকদের উপর সারাদেশে নিনর্যতন দমন নিপিড়ন লেগেই আছে। এরই ধারাবাহিকতায় সাংবাদিক রফিকুল ইসলামের উপর এ হামলার ঘটনা আবারো প্রমান করলো সাংবাদিকরা নিরাপদ নয়। তিনি হামলাকারীদের বিচার ও দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দাবি করেন।

সেপ্টেম্বর ৯, ২০১৯ at ১৯:২৫:৫০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আহা/আক/এমআর/কেএ