তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারী নিয়োগ পরীক্ষায় জালিয়াতি, গ্রেপ্তার ৬

কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী নিয়োগে পরীক্ষায় জালিয়াতির অভিযোগে ৬ জনকে গ্রেপ্তার করে মোবাইল কোর্টের আওতায় বিভিন্ন মেয়াদে সাজা প্রদান করা হয়। সাজাপ্রাপ্তরা হলেন মাহবুবার রহমান, মনিরুজ্জামান, মামুনুর রশিদ, কামরুল হাসান, সোহেল আহম্মেদ ও রফিকুল ইসলাম। আজ (৮ সেপ্টেম্বর) সকালে কুড়িগ্রাম কালেক্টরেট এর এনডিসি ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হাসিবুল হাসান এর মোবাইল কোর্টে সাজা প্রদান করা হয়।

কুড়িগ্রাম কালেক্টরেট এর এনডিসি ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হাসিবুল হাসান জানান, কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী নিয়োগে চারটি ক্যাটাগরিতে ১৯টি শূন্য পদে লিখিত নিয়োগ পরীক্ষা ছিল গত শুক্রবার। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় শনিবার দিবাগত রাত থেকে রবিবার সকাল পর্যন্ত। এ পরীক্ষায় জালিয়াতির অভিযোগ পাওয়া যায় ৬ জনের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত ৬ জন মোবাইল কোর্টে তাদের নিজ নিজ অপরাধ স্বীকার করায় তাদেরকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেয়া হয়।

এদের মধ্যে লালমনিরহাট জেলা সদরের নজির হোসেনের পূত্র মাহবুবার রহমান, তাকে পাবলিক পরীক্ষা আইন ১৯৮০ এর ৩ ধারার অপরাধে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদন্ড ও পাঁচশত টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও তিন মাসের জেল।

আরও পড়ুন:
নাতীর ধারালো অসত্রের আঘাতে নানী খুন
ভুটভুটি উল্টে মাদ্রাসা ছাত্রের মৃত্যু

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার আজোয়াটারী গ্রামের আবুল কালাম আজাদের পুত্র মো: মনিরুজ্জামান তাকে দন্ডবিধির আইন ১৮৬০ এর ১৮৮ ধারার অপরাধে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড। উলিপুর উপজেলার তবকপূর ইউনিয়নের সেলিম উদ্দিনের পূত্র মামুনুর রশিদ তাকে একই দন্ডবিধিতে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড। চিলমারী উপজেলার কিসামত বানু এলাকার তোজাম্মেল হকের পূত্র কামরুল হাসান তাকেও একই ধারায় এক মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড। সদর উপজেলার কালে মৌজার মৃত: মতিয়ার রহমানের পূত্র সোহেল আহম্মেদকে একই ধারায় তাকে ২০ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড এবং নাগেশ^রী উপজেলার দক্ষিণ রামখানা গ্রামের আবু বকর সিদ্দিকের পূত্র রফিকুল ইসলামকে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদন্ড এবং দুইশত টাকা অর্থদন্ড অনাদায় তিন দিনের কারাদন্ডাদেশ প্রদান করে তাদের সকলকে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়।

এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক মোছা: সুলতানা পারভীন জানান, অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষতা বজায় রেখে দুর্নীতিমুক্ত নিয়োগ প্রক্রিয়া পরিচালনা করেছে জেলা প্রশাসন। কতিপয় ব্যক্তি তাদের হীন স্বার্থ চরিতার্থ করতে স্বচ্ছ নিয়োগ পরীক্ষাকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে অপচেষ্টা চালায়। কিন্তু জেলা প্রশাসনের চৌকষ ও দক্ষ টিমের সক্রিয় তৎপরতায় তা ভেস্তে যায়। জালিয়াতির অভিযোগের প্রমাণ পাওয়ায় ৬ জনকে চিহ্নিত করে মোবাইল কোর্টের আওতায় বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেয়া হয়েছে।

সেপ্টেম্বর ৮, ২০১৯ at ২৩:১০:২৯ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আহা/আক/এজিএল/এএএম