নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে পালিত হলো জন্মাষ্টমী

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমী পালিত হয়েছে।

রবিবার (৮ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টায় র‍্যালির মধ্য দিয়ে এ কর্মসূচির সূচনা হয়। এরই অংশ হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদের আয়োজনে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদের সভাপতি ও বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. তপন কুমার রায়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন উর রশিদ আসকারী। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. শাহিনুর রহমান, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সেলিম তোহা। ধর্মালোচক ছিলেন বাংলাদেশ মহানাম সম্প্রদায়ের সভাপতি শ্রীমৎ কান্তিবন্ধু ব্রক্ষ্মচারী।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সিন্ডিকেট সদস্য ও শাপলা ফোরামের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মাহবুবর রহমান, ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর ড. আনিছুর রহমান, অধ্যাপক ড. পরেশ চন্দ্র বর্মণ, রেজিস্ট্রার (ভার.) এস.এম আব্দুল লতিফসহ হিন্দুধর্মাবলম্বী শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারি ও শিক্ষার্থীরা।

আরও পড়ুন:
তৃতীয় স্বামী ও একমাত্র সন্তানকে নিয়ে কোথায় শ্রাবন্তী?
নিজ হাতে গড়া বন্দিশালায় বন্দি হবেন আসামের শেফালী হাজং

এসময় উপাচার্য বলেন, ধর্ম যার যার দেশটা সবার। এখানে সকল ধরনের অন্যায়, অবিচার, পাপাচার, দূর্নীতি, সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে এবং রুখে দাড়িয়ে কল্যান ও সুন্দরকে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে রক্তক্ষয়ী মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্যদিয়ে সকল ধর্ম, বর্ণ ও গোত্রের মানুষ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে এক ও ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশ স্বাধীন করেছিল। তারই ধারাবাহিকতায় আমরা একটি সংবিধান পেয়েছি, যার অন্যতম প্রধান মূলনীতি হচ্ছে অসাম্প্রদায়িকতা।

তিনি আরো বলেন, যেকোন গবেষণাই বলিনা কেন, ধর্মকে বিচ্ছিন্ন করে কোন সামাজিক সুন্দর জীবন হতে পারে না। তাই বাংলাদেশের কল্যাণের জন্য ধর্ম, বর্ণ, জাতি ও সম্প্রদায় সকল কিছুর উর্ধ্বে থেকে সকলকে সমাজ র্নিমানে কাজ করতে হবে। তিনি বলেন, ভগবান শ্রীকৃষ্ণের আর্বিভাব হয়েছিল অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাড়াবার জন্য।

আলোচনা সভা শেষে সবার মাঝে প্রসাদ বিতরণ করা হয়।বিকাল ৩টা থেকে বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীদের অংশ গ্রহনে এক মনোজ্ঞ ধর্মীয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।

সেপ্টেম্বর ৮, ২০১৯ at ১৬:৪৩:৩০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আহা/আক/টিএইচ/কেএ