সরকারী জমি দখল করে অবৈধ ভাবে বাড়ী নির্মানের অভিযোগ

পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার মহিপুর মৎস্য বন্দরে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) ও বন বিভাগের সরকারী জমি অবৈধভাবে দখল করে একাধিক আবাসিক বাড়ী নির্মানের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

স্থানীয় কয়েক প্রভাবশালীরা এসব অবাসিক বাড়ীর স্থাপন করছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। মহিপুর থানা ও বনবিভাগের অফিসের মাত্র ১৫ গজ দূরে এসব অবৈধ ঘর তোলা হলেও সংশিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তারা কোন পদক্ষেপ না নেয়ার অভিযোগ রয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, উপজেলার মহিপুরে পাউবো ও বন বিভাগের সরকারী জায়গা দখল করে ১লা সেপ্টেম্বর শাহজাহান মিস্ত্রীর মেয়ে খাদিজা বেগম, ইব্রাহিম কারীর ছেলে নূর জামাল, আঃ বারেকের ছেলে রিপন, আলম মিস্ত্রীর স্ত্রী এবং নারী ইউপি সদস্য বিউটি বেগমসহ একাধিক ব্যক্তি এসব অবৈধ স্থাপনা নির্মান করছেন। আরো ঘর তোলার জন্য নির্মানকারীরা নির্মান সামগ্রী সংগ্রহ করছে বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা ।

মহিপুরে সরকারী জায়গায় দিনে-রাতে এসব আবাসিক স্থাপনা নির্মান কাজ চললেও সংশ্লিষ্ট বনবিভাগ ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্তৃপক্ষ নিশ্চুপ থাকছেন। অভিযোগ রয়েছে অবৈধ ভাবে নির্মানাধীন এসব ঘর প্রতি ৩০ হাজার টাকা করে নেয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন :
পুত্রবধূকে নিয়ে উধাও শশুর
চালু হলো বিআরটিসি দ্বিতল বাস

অবৈধ ঘর নির্মাণকারী খাদিজা বেগম জানান, তারা গরীব মানুষ। থাকার জায়গা নাই। খালি জায়গা পড়ে রয়েছে সেখানে ঘর তুলেছেন তিনি। তিনি ছাড়াও আরো ৭টি ঘর তৈরী করেছে স্থানীয় কয়েকজন।

নারী ইউপি সদস্য মোসা. বিউটি বেগম জানান, মসজিদের ঝাড়ুদার ইব্রাহিমকে একটি ঘর তুলতে সে সহযোগিতা করেছেন। ওই ঝাড়ুদারের কোন থাকার জায়গা নাই, তাই তিনি সহযোগিতা করেছেন।

মহিপুর ইউপি সদস্য নিমাই চন্দ্র দাস বলেন, বিদ্যালয়ে শিশুদের আসা যাওয়ার জন্য টাকা খরচ করে রাস্তা করা হয়েছে। সেই রাস্তার দুই ধার দখল করে অবৈধ ঘর তুলেছে কয়েকজন। এতে বিদ্যালয়ে শিশুদের চলাচলে প্রভাব পড়েছে।

মহিপুর বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. আবুল কালাম আজাদ জানান, বনবিভাগের জমিতে কেউ ঘর তোলেনি। যে জায়গায় ঘর তোলা হচ্ছে ওই জমি তাদের নয়।

পানি উন্নয়ন বোর্ড কলাপাড়া সার্কেলের নির্বাহী প্রকৌশলী খান মোহাম্মাদ অলিউজ্জামান জানান, তার কাছে ফোনের মাধ্যমে অবৈধ স্থাপনা নির্মান করা হচ্ছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছে। তিনি লোক পাঠিয়েছেন নির্মান কাজ বন্ধ করার জন্য।

সেপ্টেম্বর ৬, ২০১৯ at ১৯:০০:৩০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আহা/আক/এসএম/আজা