মঙ্গলবার (০৩ সেপ্টেম্বর) রাতে শিপনের বিরুদ্ধে প্রতারণা মামলা হলে বুধবার তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। শিপন চুয়াডাঙ্গা শহরতলীর দৌলতদিয়ার ফায়ার সার্ভিসপাড়ার মৃত আমিনুল ইসলামের ছেলে। প্রতারক শিপন এর আগেও বহু মানুষের নিকট থেকে প্রতারণা করেছেন বলে অনেকেই অভিযোগ করেন।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি এমদাদুল হক নামের একজনের মোটরসাইকেল (চুয়াডাঙ্গা-হ-১১-৮১১০) রেজিষ্ট্রেশনের মেয়াদ শেষ হয়।
চুয়াডাঙ্গা ট্রাফিক পুলিশ তাকে ২ হাজার টাকা জরিমানা করে। জরিমানার টাকা মওকুফ করার কথা বলে মোটরসাইকেল মালিকের নিকট থেকে নগদ টাকা নেয় শিপন।
শিপন কেসশ্লিপে শতভাগ জরিমানা মওকুফ করা হলো উল্লেখ করে নিজে লিখে পুলিশ সুপারের সাক্ষর জাল করে ট্রাফিক অফিস থেকে মোটরসাইকেলের কাগজ ফেরত আনতে যান। পুলিশের সন্দেহ হলে সার্জেন্ট মৃত্যুঞ্জয় চ্যালেঞ্জ করেন শিপনকে। এসময় শিপন নিজেকে চুয়াডাঙ্গার এনএসআই সদস্য বলে পরিচয় দেন। পরে প্রতারক শিপনকে পুলিশ সুপারের সামনে হাজির করা হয়। পরে প্রমান হয় শিপন পুলিশ সুপারের সাক্ষর জাল করেছেন এবং নিজেকে ভুয়া এনএসআই সদস্য পরিচয় দিয়েছেন।
এ ঘটনায় সার্জেন্ট মৃত্যুঞ্জয় বিশ্বাস বাদী হয়ে মঙ্গলবার রাতে শিপনের নামে একটি প্রতারনা মামলা করেছেন। বুধবার (০৪ সেপ্টেম্বর) প্রতারক শিপনকে আদালতে সোপর্দ করা হলে আদালতের বিজ্ঞ বিচারক তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করেন।
সেপ্টেম্বর ৫, ২০১৯ at ১৭:১৫:৩০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আহা/আক/টিআর/কেএ