জাপানে বিনা খরচে যাবে বাংলাদেশি দক্ষ কর্মী

বাংলাদেশ থেকে জাপানে বিনা খরচে যাবে দক্ষ কর্মী। সম্প্রতি চীন, ভিয়েতনামসহ ৮টি দেশের সঙ্গে নবম দেশ হিসেবে এই সুযোগ পেয়েছে বাংলাদেশ।

প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রী বলছেন, অভিবাসন খাতে নতুন দিগন্তের শুরু হবে জাপানকে দিয়েই। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নতুন বাজারটিকে টেকসই করতে নিশ্চিত করতে হবে সঠিক প্রশিক্ষণ।

আরও পড়ুন :
বাণিজ্য নিয়ে পুতিন ও মোদির বৈঠক
টাখনুর নিচে কাপড় পরার অপকারিতা

জাপান, এশিয়ার উন্নত এই দেশটি প্রযুক্তিসহ নানান দিকে এগিয়ে থাকলেও পিছিয়ে পড়ছে জনসংখ্যায়। এমন প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশসহ ৯টি দেশ থেকে সাড়ে ৩ লাখের বেশি কর্মী নেবে জাপান। এ নিয়ে সম্প্রতি একটি চুক্তি হয়েছে দু’দেশের মধ্যে।

দুটি ক্যাটাগরিতে আগামী পাঁচ বছর কেয়ার ওয়ার্কার, বিল্ডিং ক্লিনিং ব্যবস্থাপনা, মেশিন পার্টস ইন্ডাস্ট্রিজ, ইলেকট্রনিক, ইলেকট্রনিক্স, কন্সট্রাকসন, জাহাজ শিল্প, অটোমোবাইল, কৃষিসহ ১৪টি খাতে দক্ষ এবং জাপানি ভাষায় পারদর্শী কর্মীরাই পাবেন এ সুযোগ।

প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমেদ বলেন, চীনের যে কর্মদক্ষতা ও গুণ সেটাকে সমানতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য কর্মীদের বিএমইটিতে এনে চীনের স্ট্যান্ডার্ডের সাথে দাঁড়ানের জন্য কর্মীদের দক্ষভাবে তৈরি করা হবে।

শর্তপূরণ হলে বিনা খরচেই নেয়া হবে জাপানে। রিফিউজি অ্যান্ড মাইগ্রেটরি মুভমেন্টস রিসার্চ ইউনিটের (রামরু) পরিচালক মেরিনা সুলতানা বলেন, এ সুযোগকে কাজে লাগতে কর্মীদের সঠিক প্রশিক্ষণ আর কৌশলের বিকল্প নেই। তাই সুযোগটি কাজে লাগাতেই হবে।

জাপানের নতুন বাজার দেশের রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোর জন্য নতুন সুযোগ। এমটিই মনে করছে বিদেশে কর্মী পাঠানো প্রতিষ্ঠানগুলোর শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সি (বায়রা)। বায়রার মহাসচিব শামীম আহমেদ চৌধুরী নোমান বলেন, চীনে কর্মী পাঠানোর জন্য যারা অনুমোদন পাবে তাদের দায়িত্ব হলো, কঠোরভাবে নিয়মগুলো মেনে চলা। কারণ, এই মার্কেটটি যদি ধরে রাখতে না পারি তাহলে এটি হবে আমাদের জন্য ব্যর্থতা। আমাদের সকলের নৈতিক দায়িত্ব হবে এটিকে সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া।

জাপানের চাহিদা অনুযায়ী কর্মী পাঠাতে এরইমধ্যে ২২টি কারগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র প্রস্তুত করেছে সরকার।

সেপ্টেম্বর৫, ২০১৯ at ০৯:০৩:১৬(GMT+06)
দেশদর্পণ/আহা/ আক/ জুবা/ইআ