আলোচনায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদির সেই চায়ের দোকান

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির চায়ের দোকানও স্থান পেতে চলেছে দেশটির পর্যটন মানটিত্রে। নরেন্দ্র মোদি দাবি করেন, তার ছোটবেলা কেটেছে চরম দারিদ্রে। ছোটবেলায় ভাদনগর স্টেশনে তার চা বিক্রির গল্পও অনেকবার শোনা গিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সেই চায়ের দোকানকে এবার পর্যটনস্থলে পরিণত করার উদ্যোগ নিল কেন্দ্র।

আরও পড়ুন :
মালয়েশিয়ায় ৪১ বাংলাদেশি আটক
স্ত্রীকে সুখী করার কৌশল

সম্প্রতি কেন্দ্রীয় পর্যটন মন্ত্রকের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী প্রহ্লাদ প্যাটেল ভাদনগর স্টেশনের ধারের সেই চায়ের দোকানটির বর্তমান পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে যান। তারপরই তিনি নির্দেশ দিয়েছেন, দোকানটির মূল কাঠামো পরিবর্তন না করে, তার সংস্কার ও আধুনিকিকরণ করতে হবে। এই খাতে অর্থ বরাদ্দ করবে কেন্দ্রীয় সরকারের পর্যটন দপ্তর। পুরো দোকানটিকে কাচে মুড়ে ফেলা হবে। গোটা এলাকার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা হবে।

মোদির দাবি অনুযায়ী, ছোটবেলায় এই ভাদনগর স্টেশনেই বাবার সঙ্গে চা বিক্রি করতেন তিনি। পরিবারের আর্থিক স্বচ্ছলতার দায় তখন ছিল তার কাধে। ভাদনগরের সেই ছোট্ট নরেন আজ বিশ্ববন্দিত নেতায় পরিণত হয়েছে। তার কাঁধে এখন গোটা দেশের দায়িত্ব। স্বাভাবিকভাবেই মোদির ছোটবেলার সেই স্মৃতির প্রতি পর্যটকদের আকর্ষণ থাকবে। যা লুফে নিতে চাইছে পর্যটন মন্ত্রক। এই এলাকার উন্নতি সাধনের মাধ্যমে চায়ের দোকানটিকে আন্তর্জাতিক মানের পর্যটনস্থল হিসেবে তুলে ধরার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

কেন্দ্র চাইছে, মোদির ছোটবেলা থেকে বেড়ে ওঠা পর্যন্ত সমস্ত স্মৃতিবিজড়িত জায়গাগুলিকেই পর্যটনস্থল হিসেবে তুলে ধরতে। সেই উদ্দেশ্যে বছর দুই আগে এই ভাদনগর স্টেশনের সংস্কারও করা হয়েছে। ভাদনগরের উন্নয়নে প্রায় ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়।

সেপ্টেম্বর৫, ২০১৯ at ০৬:০১:০০(GMT+06)
দেশদর্পণ/আহা/ আক/ জুবা/ইআ