সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলা সীমান্তেের উত্তর বড়ল ও উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের ১৫ কিলোমিটার এলাকায় দিয়ে ভারতের মেঘালয় পাহাড়ে থেকে বয়ে আসা কয়েকটি ছড়া দিন দিন পর্যটকদের কাছে আকর্শনীয় হয়ে উঠেছে।
বর্তমানে সীমান্তে ছড়াগুলো সারা দেশে ভ্রমন পিপাসুদের সাথে আবারো নতুন করে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছে। শুষ্ক মৌসুমে ছড়াগুলোতে পানি কম থাকায় পর্যটকদের উপস্থিতি একটু কম দেখা যায়। তবে র্বষায় ছড়াগুলোতে পর্যটকদের উপচে পড়া ভীড় লক্ষ্যনীয়। রঞ্জন, সুমন দাসসহ স্থানীয় বাসিন্দারা জানায়, একসময়ের অচেনা আর অবহেলায় পরে থাকা উপজেলার মাদার ফিসারিজ খ্যাত টাঙ্গুয়ার হাওর,শহীদ সিরাজ লেক, ট্যাকেরঘাট, বারেকটিলা, যাদুকাটা,
এখন সীমান্তের ছড়াগুলো ইতিমধ্যে পর্যটকদের মনে কেরেছে তার মধ্যে রাজাই ঝর্না, চানপুর ছড়া, ট্যাকেরঘাট ছড়া, লাকমা ছড়া, লালঘাট ছড়া, কলাগাঁও ছড়া ও বীরেন্দ্র নগর ছড়া। এই প্রতিটি ছড়াই ভারত থেকে প্রবাহিত হয়ে এ উপজলায় প্রবেশ করেছে। পূর্বে সীমান্তে ঐ ছড়া গুলো নামমাত্র নালায় পরিনত ছিল। দীর্ঘ দু যুগেরও বেশি সময় ধরে বর্ষায় প্রবল বেগে পাহাড়ি ঢলের পানি প্রবাহিত হওয়ায় নালা গুলো বৃহৎ আকার ধারণ করেছে স্থানীয় ভাবে পরিচিত ছড়া নাম ধারন করেছে।
ফলে ঐ ছড়া গুলোতে সারা বছর কম বেশি পানি প্রবাহিত হয়ে থাকে। বর্ষায় বৃষ্টিপাত বেশী হওয়ায় ছড়াগুলো দিয়ে বেশী পানি প্রবাহিত হওয়ায় বর্ষাতে এর নান্দনিকতা বহুগুন বেড়ে যায় । ফলে বর্ষায় হাওর ঘুরতে আসনে তাদের মধ্যে অধিকাংশ লোকজনই সীমান্তের ঐ ছড়া গুলো এক পলক দেখে যান বেড়াতে আসা শহিদুল আলম সুমন, নাইম, মেহেদী হাসান ভুঁইয়া (জনমেজর) সহ অনেকেই বলেন, ২০০৬ সালে পর থেকে টাঙ্গুয়া হাওরে সৌন্দর্যের দিকে দৃস্টি পরে পযর্টকদের। দৃষ্টি নন্দন টাঙ্গুয়ার হাওর, শহীদ সিরাজ লেক, ট্যাকেরঘাট, বারেকটিলা, যাদুকা
হাওরের পাশেই এত ভাল লাগার মত ছড়াগুলো আছে তা আজানা ছিল।
স্বচ্ছ পানির ছড়া গুলো অনেক সুন্দর আর আকর্শনীয় না দেখলে এর সৌন্দর্য বলে শেষ করা যাবে না। সীমান্তের টেকেরঘাট গ্রামের মোটর সাইকেল চালক শফিক মিয়া বলেন, পর্যটকরা প্রথমেই হাওর ঘুরে পর্যটকরা ট্যাকেরঘাট আসেন তার পর বিভিন্ন ছড়া দেখার জন্য মোটর সাইকলে ভাড়া করে নিয়ে যায়। ঐসব ছড়া গুলো দেখে তারা খুবেই আনন্দ পায়। এই ছড়াও এখন তাহিরপুর উপজেলার পযর্টকদের কাছে টানছে।
আর আমরাও ভাড়ায় মটর সাইকেল চালিয়ে ভালই চলছি। উপজেলার রতন শ্রীপুর গ্রামের মাঝি সাজিদুর মিয় বলেন, নৌকা দিয়ে হাওরে পযর্টকদের নিয়ে জান তিনি। গত কয়েক বছর আগে শুধু মাত্র হাওর ঘুরতে দেশের বিভিন্ন এলাকার লোকজন তাহিরপুর উপজেলায় আসত। এখন হাওরের পাশাপাশি ব্যাপক ভাবে পরিচিত পাওয়া ছড়া গুলো দেখতেও লোকজন আসছে। ফলে এখন হাওরের পাশাপাশি ছড়ার আকর্শন পযর্টকদের আগমন বেড়েই চলছে। এতে করে আমরাও লাভবান হচ্ছি।
সেপ্টেম্বর ৪, ২০১৯ at ১৯:০৫:৪৫ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আহা/আক/জেএ/কেএ