হাত বাড়ালেই মিলছে সর্বনাশা মাদক, ধংশের দ্বারপ্রান্তে যুবসমাজ

জীবননগর হাত বাড়ালেই পাওয়া যায় সর্বনাশা ইয়াবা ও ফেন্সিডিলসহ বিভিন্ন মাদক দ্রব্য । ফলে মাদকের ভয়াল ছোবলে যুব সমাজ ধংশের দ্বারপ্রান্তে চলে যাচ্ছে। মাদক ব্যবসায়ী ও সেবীদের পরিবারে বিরাজ করছে চরম অস্থিরতা ও অশান্তি।

এদিকে ৪৩ শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ীর নিয়ন্ত্রনে এসব মাদকদ্রব্য বিকিকিনি হয় বলে অনুসন্ধানে বেড়িয়ে এসেছে। বিভিন্ন সময় ইয়াবা, গাঁজা ও ফেন্সিডিল সহ মাদক ব্যবসায়ী ও সেবী আটক হলেও কোন ভাবেই নিয়ন্ত্রনে আসছেনা এ ব্যবসা। পুলিশি নজরদারী এড়িয়ে ভিন্ন কৌশলে মোবাইল কলে এ মাদক হাতবদল হয়ে থাকে বলে জানা গেছে।

অনেক সময় ইজিভ্যান চালককে বিক্রিতে ব্যবহার করা হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। ফোনে যোগাযোগ হওয়ার পরে নির্দিষ্ট স্থানে পৌঁছে দেওয়া হয় এসব মাদক। জীবননগর পৌর শহরের ১ নং ওয়ার্ডে ৪ জন, ২ নং ওয়ার্ডে ৭ জন, ৫ ও ৬ নং ওয়ার্ডে ৬ জন, থানামোড় ৩ নং ওয়ার্ডে ৪ জন,৮ নং ওয়ার্ডে ৫ জন, কাচা বাজারে ২ জন, উপজেলার সিমান্ত ইউনিয়নে ১২ জন, বডার পাশে পশ্চিম পাড়ে বডার সংলগ্ন ইউনিয়নে ৭ জন ও সিমান্ত ইউনিয়নে ৫ জন মাদক ব্যবসায়ী এসব মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

আরও পড়ুন :
সিভিল সার্জন ডাঃ এস এম আমিনুল ইসলামের কর্মময় জীবনের পরিধি
শারীরিক প্রতিবন্ধী ফুলতি বালা উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করতে চায়

এছাড়া হরিহরনগরে শহিদুলের ছেলে নাজমুল(২০), রাসেল(৩০), সোহেল (৩৮), মোয়াজ্জম মোবাইল ফোনে ভারত থেকে পরিচালিত করে মশিয়ার ও মাধব পুরের জাহাঙ্গির, ধোপাখালির হুদা ব্রিজ পাড়ার, ওমর আলি, ছটেংগার ৪ জন, মনোহরপুর ইউনিয়নেও বেশ কয়েকজন মাদক ব্যবসায়ী বীর দর্পে মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ। আরো কেডিকে ইউনিয়নের খয়ের হুদা গ্রামের মানুর ছেলে মামুন বিলপাড়ার কয়েকজন গাজা ব্যবসাসহ সব মাদক ব্যবসায়ীর অনেকেই একাধিক বার র‌্যাব ও পুলিশের হাতে মাদক সহ আটক হয়ে দীর্ঘদিন কারাবাস করেছে। দু’একজনের ভ্রাম্যমান আদালতে সাজাও হয়েছে। তবুও অসৎ এ ব্যবসা থেকে তাদের নিবৃত করা যায়নি।

এ প্রসঙ্গে মাদকের বিরুদ্ধে অবস্থান জিরো টলারেন্সে জানিয়ে ওসি তদন্ত ফেরোদৌস ওয়াহেদ বলেন, মাদক ব্যবসা নির্মূলে তিনি একের পর এক অভিযান চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি গত এক বছরে বেশ কয়েকজন শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী ও সেবীকে আটক করে তাদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য আইনে মামলা নিয়েছেন এবং কয়েকজনকে ভ্রাম্যমান আদালতে পাঠিয়ে সাজা দিয়েছেন বলেও জানান।

সেপ্টেম্বর ৪, ২০১৯ at ১১:২৫:৩০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আহা/আক/এসআরএস/এএএম