কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে জোসনা খাতুন (৫৫) নামে এক মহিলার মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
জোসনা খাতুন উপজেলার খলিসাকুন্ডি ইউনিয়নের শ্যামনগর গ্রামের আসাদুজ্জামান মঙ্গল মণ্ডলের স্ত্রী। জানা গেছে, গত শুক্রবার ডাক্তারি পরীক্ষার মাধ্যমে জোসনা খাতুনের ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি ধরা পড়ে।
স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেয়ার পর তার অবস্থার অবনতি হলে রোববার তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়। রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে তিনি মারা যান।
গত ২৬ আগস্ট দৌলতপুর উপজেলার আড়িয়া ইউনিয়নের ছাতারপাড়া গ্রামে সর্বপ্রথম একযোগে ৩৮ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত করা হয়। আকস্মিকভাবে এতজন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়ায় এলাকাবাসীর মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
আরও পড়ুন:
২৩ শর্তে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন
গত কয়েকদিনে ওই গ্রামের ৭০ পরিবারের মধ্যে ৪২ জন ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হওয়া ছাড়াও এ উপজেলায় ৬০ জনের বেশি ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়। খবর পেয়ে প্রথম দিনেই উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাড. এজাজ আহমেদ মামুন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন আক্তার ও উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. অরবিন্দু পালসহ উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে যান।
পরেরদিন কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক আসলাম হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এলাকাবাসীকে আতঙ্কিত না হয়ে সচেতন থাকার পরামর্শ দেন।
গত দুদিন আগে ঢাকা থেকে রোগতত্ত্ব বিভাগের একটি প্রতিনিধি দল হঠাৎ করে ডেঙ্গু ছড়ানোর কারণ অনুসন্ধানে এ উপজেলায় আসেন। তারা গ্রামবাসীর সাথে কথা বলে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করেন।
সোমবার কুষ্টিয়া সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আতাউর রহমান আতা ও কুষ্টিয়া প্রেসক্লাবের নেতৃবৃন্দ ডেঙ্গু আক্রান্ত এলাকায় সচেতনতামূলক সমাবেশ করেন। এ সময় এলাকাবাসীর মাঝে মশারিসহ ডেঙ্গু প্রতিরোধক বিভিন্ন উপকরণ বিতরণ করেন তারা।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে ডেঙ্গু প্রতিরোধে সর্বাত্মক সতর্কতা অবলম্বন করা হলেও কিছুতেই থামানো যাচ্ছে না ডেঙ্গুর প্রকোপ। এদের মধ্যে জোসনা খাতুনই এ উপজেলায় প্রথম ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করলেন।
সেপ্টেম্বর ৩, ২০১৯ at ২৩:৫৮:২৯ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আহা/আক/এসআরএস/এএএম
