রাজারহাটে প্রতিমার জমাজমাট হাট

শারদীয় দুর্গাপূজাকে সামনে রেখে রাজারহাটের বৈদ্যের বাজার নামক এলাকায় প্রতিমার হাট বসেছে। প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন স্থানীয় কারিগরগণ। গত ৭ বছর ধরে ওই এলাকার বাসিন্দা সনাতন ধর্মাবলম্বী শ্রী বৈদ্যনাথ মালাকার (৭০) প্রতিমা তৈরি করে বিক্রি করে আসছেন।

প্রতি বছর প্রতিমা তৈরি করে ব্যবসায় সাফল্য দেখে তার পাশাপাশি আরও ১৬ জন প্রতিমা ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েছেন। এ বছর ১৬টি কারখানায় প্রায় ২৫০টি প্রতিমা বানানোর জন্য ৭০ থেকে ৮০ জন্য মালাকার কাজ করছেন। প্রতি বছর একেকজন মালাকার দুর্গাপূজা শুরুর দেড় থেকে দুই মাস পূর্ব থেকে কারিগর নিয়ে শুরু করেন প্রতিমা বানানোর কাজ। এর ব্যতিক্রম এবারও হয়নি।

বর্তমান প্রতিমা কারিগররা তাদের টার্গেট চূড়ান্ত করতে দিন-রাত ২৪ ঘণ্টা ব্যস্ত। রুটিন মাফিক শ্রমিকরা অক্লান্ত পরিশ্রমে ব্যস্ত সময় পার করছে। সব মিলিয়ে ওই এলাকাটি প্রতিমার হাট হিসেবে গত ৭ বছর ধরে পরিচিতি পেয়েছে। দুর্গা উৎসবের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে সনাতন ধর্মাবলম্বী মানুষের পদচারণায় ততই মুখরিত হয়ে উঠেছে প্রতিমার হাটটিতে। প্রতিমা ব্যবসায়ী বৈদ্যনাথ মালাকারের বলেন, এবার কমপক্ষে ৩০টি মন্দিরের প্রতিমা তৈরি করবো এবং প্রতিটি প্রতিমা তৈরিতে খরচ পড়ে শ্রেণীভেদে ৭ থেকে ৮ হাজার থেকে ৯ থেকে ১১ হাজার টাকা। বিক্রি হবে শ্রেণীভেদে একেকটি ১৫ থেকে ১৮ এবং ২৫ থেকে ২৮ হাজার টাকায়।

আরও পড়ুন :
চৌগাছায় তিন দিনের ব্যবধানে ১২ জন ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত
চাপমুক্ত থাকার ৬ উপায়

প্রতি বছর এখানকার তৈরি করা প্রতিমাগুলো নিজ উপজেলাসহ রংপুর, গাইবান্ধা, নীলফামারী, লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রাম জেলার বিভিন্ন এলাকায় চলে যায়। আর প্রায় ৩০ থেকে ৩২ বছর ধরে প্রতিমা তৈরির কাজ করে আসছি। এখানকার কারিগররা বেশ দক্ষতার সহিত প্রতিমা তৈরিকারী করায় জেলার বাইরেও এর কদর প্রতি বছর বেড়েই চলছে।

তপন রায় (৩০) বলেন, বৈদ্যের বাজারে প্রায় ৬ থেকে ৭ বছর যাবৎ প্রতিমার হাট বসে। ৬ জন শ্রমিক ১০ দিনের মধ্যে একটি প্রতিমা তৈরির কাজ সমাপ্ত করে থাকেন।

পূজা শুরুর ১৫ দিন পূর্বে যে যার সাধ্যমতো প্রতিমা দেখে পছন্দপূর্বক মূল্য নির্ধারণ করে টাকা দিয়ে যায় পরে রং ও ডিজাইন করে প্রতিমা হস্তান্তর করা হয়। প্রতিমা ব্যবসায়ী বিপুল কান্তি রায় (৩২) বলেন, শুধু আমরা দুর্গার প্রতিমা বানাই তা নয়, স্বরস্বতী, কালী, মনসা, লক্ষ্মী প্রতিমাও বানিয়ে আসছি।

বিভিন্ন এলাকা হতে দুর্গাপূজার মতো ওই পূজার প্রতিমার সারা বছর চাহিদা ব্যাপক। সব মিলিয়ে এখানে প্রতিমা তৈরিতে ব্যাপক প্রতিযোগিতা রয়েছে।

সেপ্টেম্বর ০৩, ২০১৯ at ১০:৪১:৩০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আহা/আক/এজিলা/এএএম