এলজিইডির নড়বড়ে ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজ দুর্ঘটনার আশংকা গ্রামবাসীদের

পটুয়াখালীর দুমকিতে রাজগঞ্জ খালের ওপর এলজিইডির ১৫ মিটার সেতুটি মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। লোহার বিমের ওপর ভাঙ্গাচুড়া হাতলের নড়বড়ে সেতুটি যে কোন সময়ে ভেঙ্গেপড়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশংকা দেখা দিয়েছে।

উপজেলার মধ্য পাঙ্গাশিয়া গ্রামের রাজগঞ্জ খালের ওপর চারঘাটায় নির্মিত এলজিইডির ১৫ মিটার সেতুটি নড়বড়ে ও মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে আছে। সেতুটির উভয় পাশের রেলিং ভেঙ্গে পড়েছে বহু আগে। লোহার বিমের ওপর ঢাইায়ের নড়বড়ে সেতুটি পারাপারকালে দুলতে থাকে। পাংগাশিয়া মাদ্রাসা টু চান্দুখালী পায়রা নদীর তীর পর্যন্ত ব্যস্ততম এ সড়কের মাথায় খেয়াঘাট যেতে এ ঝুঁকিপূর্ণ সেতুটি পারাপার হয়ে হয়। দক্ষিন পাংগাশিয়া, রাজগঞ্জ, চান্দখালী গ্রাম ছাড়াই পার্শ্ববর্তি ইটবাড়িয়া ইউনিয়ন ও পায়রা নদীর ওপারে মির্জাগঞ্জের হাজার হাজার মানুষ রিস্কা, ভ্যান ও অটোবাইকে সেতুটি পার হয়ে নিত্য চলাচল করছে।

দ্রুত যাতায়তের সহজ পথে এমন নড়বড়ে সেতুটি পারাপারকালে দুর্ঘটনার ঝুঁকি সত্ত্বেও সংস্কার করা হচ্ছে না। নিরুপায় হয়ে এলাকাবাসী ও দূর-দুরান্তের পথচারীদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সেতুটি পার হতে হচ্ছে। দ্রুত সংস্কার কিন্বা পুণ:নির্মাণ করা না হলে ভগ্নদশার সেতুটি যে কোন সময় ভেঙ্গে পড়ে বড় ধরণের প্রাণহানীসহ দুর্ঘটনা ঘটার আশংকা রয়েছে। চারঘাটার মুদী ব্যবসায়ী আনোয়ার হাওলাদার (৫০) জানান, অতিপুরাতন সেতুটি দীর্ঘদিন যাবৎ মেরামত না করায় আস্তে আস্তে নস্ট হয়ে যাচ্ছে। সেতুর দুপাশের রেলিং ভেঙ্গে গেছে। লোহার বিমের ওপর দাড়ানো সেতুতে রিস্কা-টেম্পুসহ যে কোন যানবাহন পারারের সময় এদিক ওদিক দুলতে থাকে। মানুষকে দুর্ঘটনার আতংক নিয়ে সেতুটি পারাপার হতে হয়। চারঘাটার চা-দোকান্দার চান শরীফ (৫৫) স্থানীয় বাসিন্দা আবদুল বারেক খান (৬২), রফিকুল ইসলাম হাওলাদার (৪৫) একই মতপোষন করে জানান, গ্রামবাসীরা সব সময় আতংকের মধ্যেই সেতুটি পার হচ্ছেন। তাই শীঘ্রই সেতুটি মেরামত করা জরুরী।

আরও পড়ুন:
৪৮ তম গ্রীষ্মকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতার ফাইনাল সম্মিলনী উদ্বোধন
কর্মঘন্টা কমানো ও বেতন স্কেল বৃদ্ধির দাবিতে কর্মবিরতি

পাংগাশিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মো: আলমগীর সিকদার বলেন, উপজেলা পরিষদের উন্নয়ন সভায় বেশ কয়েকবার এ সেতুটি মেরামতের প্রস্তাব করেছি। আশাকরি শীঘ্রই সেতুটি পুণ:নির্মাণের বরাদ্দ পাওয়া যাবে। এবিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী দিপুল চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, শুধু এটি নয়, উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের এমন সব ঝুঁকিপূর্ণ সেতুগুলো পুণ:নির্মাণের প্রস্তাব ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। প্রকল্প প্রস্তাব পাশ ও প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ পেলে টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষে কাজ শুরু করা হবে।

সেপ্টেম্বর ০২, ২০১৯ at ১৮:১৫:৩০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আহা/আক/জেইউ/কেএ