চুয়াডাঙ্গায় পুলিশের বিরুদ্ধে উৎকোচ নেয়ার সত্যতা মিলেছে

ফেনসিডিলসহ গ্রেফতারের পর মামলা হালকা করে দেয়ার কথা বলে ৫০ হাজার টাকা উৎকোচ নেয়ার মিলেছে সত্যতা। ক্যাম্প ইনচার্জ এসআই এবিএম আফজাল হোসেন কিছু হাতে হাতে এবং কিছু টাকা বিকাশের মাধ্যমে নিয়েছেন বলে দাবি করছে গ্রেফতারকৃত বিল্লালের পরিবার। বিকাশের মাধ্যমে পুলিশকে টাকা দেয়ার প্রমাণও দিচ্ছেন তারা।
বিষয়টি জানজানি হবার পর থেকে শাক দিয়ে মাছ ঢাকার অপচেষ্টা চালাচ্ছে এসআই আফজাল। চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার হিজলগাড়ী ক্যাম্প পুলিশের ইনচার্জ এসআই এবিএম আফজাল হোসেন শুক্রবার রাতে কোটালী-উজলপুর সড়কের শৈলমারী মোড় নামক স্থান থেকে ডিসকভারি মোটরসাইকেলসহ আকন্দবাড়ীয়া গ্রামের দু’জনকে গ্রেফতার করেন।
পুলিশ জানায়, ২০ বোতল ফেনসিডিলসহ গ্রামের শাজাহানের ছেলে বিল্লাল হোসেন এবং ইসরাফিলের ছেলে পিল্টুকে গ্রেফতার করা হয়। এছাড়া মোটরসাইকেলের মালিক একই গ্রামের আনছারের ছেলে ওল্টুর বিরুদ্ধে পলাতক আসামি করে মামলা করা হয়।
গ্রেফতারকৃত বিল্লালের মা জাহেরা বেগম এবং স্ত্রী রাশিদা খাতুন অভিযোগ করে বলেন, শুক্রবার বিল্লাল ও তার বন্ধু পিল্টু নওদাগ্রাম থেকে বাড়ি ফিরছিল। এসময় তাদেরকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে বিভিন্নভাবে আমাদের সাথে যোগাযোগ করেন ক্যাম্প ইনচার্জ আফজাল হোসেন। পুলিশ বিল্লালের কাছে থাকা ১৬ হাজার টাকা নিয়ে নেয়।

আরও পড়ুন :
অনির্দিষ্ট কালের পরিবহন ধর্মঘট স্থগিত
লালপুরে পাওয়ার ক্রাশার বন্ধে মাঠে নেমেছে নর্থ বেঙ্গল সুগার মিল

আমাদের কাছ থেকে ঘটনার আগের দিন সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে আকন্দবাড়িয়া বটতলা বাজারের বিকাশের দোকানের এই ০১৭৯৮৪০৩২৪৫ থেকে ব্যাক্তিগত এ ০১৭৩২৮২৮৫২৬ নাম্বারে বিকাশের মাধ্যেমে ৯ হাজার টাক নেন। মেসেজ তো আর মুছে যাবে না। ঘটনার পরের দিন শনিবার সকালে ২৫ হাজার টাকা নগদ নেন। পরিবারের অভিযোগ টাকা নিয়েও পুলিশ কথা রাখেনি।
বিল্লালের মা কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ছেলের মারধর দেখে কি কোনো মা ঠিক থাকতে পারে। তাই ধারকর্জ করে ওই টাকা পুলিশকে দিয়েছি। কিন্তু তাও পুলিশ তাকে মামলা দিয়ে জেলে পাঠিয়েছে। আমাদের যা হবার তা তো হয়েই গেছে, এখন টাকাটা ফেরত চাই।
এব্যাপারে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) বলেন, ১৬ হাজার টাকা সিজার লিষ্ট করা হয়েছে সেটা ফেরত দেয়া হবে আর বিকাশের টাকা যার মাধ্যমে দেয়া হয়েছে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার মাহবুবুর রহমান পিপিএম বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর বিষয়টি খোঁজখবর নেয়ার জন্য সদর থানার ওসিকে বলেছি। অনেক সময় এমন মিথ্যা অভিযোগও পাওয়া যায়। তথ্যউপাত্ত যাচাই বাছাই চলছে। অভিযোগের প্রমাণ পেলে অবশ্যই কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 

সেপ্টেম্বর ০২, ২০১৯ at ১২:০৯:৩০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আহা/আক/মোতার/এএএম