পুলিশের বিরুদ্ধে ভয়ভীতি দেখিয়ে অর্থবানিজ্যের অভিযোগ

চুয়াডাঙ্গার হিজলগাড়ি ক্যাম্প পুলিশ ফেনসিডিলসহ দু’জনকে গ্রেফতার করেছে।গ্রেফতারের পর মারপিট, ভয়ভীতি এবং মামলা হালকা করে দেবার নাম করে মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে ক্যাম্প ইনচার্জ এসআই এবিএম আবজাল হোসেনের বিরুদ্ধে।

রোববার বিষয়টি নিয়ে ভুক্তভোগির পরিবার পুলিশ সুপারের নিকট যাবেন বলে জানিয়েছেন। অভিযোগে জানাগেছে, চুয়াডাঙ্গা সদর হিজলগাড়ি ক্যাম্প পুলিশের ইনচার্জ এসআই এবিএম আবজাল হোসেন শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে কোটালী-উজলপুর সড়কের শৈলমারি মোড় নামক স্থান থেকে ডিসকভারী মোটরসাইকেলসহ আকন্দবাড়িয়া গ্রামের ২ জনকে গ্রেফতার করেন। পুলিশ জানায়, ২০ বোতল ফেনসিডিলসহ গ্রামের শাজাহানের ছেলে বিল্লাল হোসেন এবং ইস্রাফিলের ছেলে পিল্টুকে গ্রেফতার করা হয়েছে গ্রেফতারকৃত বিল্লাল, পিল্টু ও মোটরসাইকেলের মালিক একই গ্রামের আনছারের ছেলে ওল্টুর বিরুদ্ধে পলাতক আসামী করে মামলা দায়ের পূর্বক চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় সোর্প করেন। এদিকে বিল্লালের মা এবং স্ত্রী অভিযোগ করে বলেন, শুক্রবার বিল্লাল ও তার বন্ধু পিল্টু নওদাগা গ্রাম থেকে বাড়ি ফিরছিলো। এসময় তাদেরকে কোন মালামাল ছাড়াই গ্রেফতার করে।

আরও পড়ুন:
মহারাষ্ট্রে রাসায়নিক কারখানায় বিস্ফোরণে নিহত ২০
আজ শুরু হচ্ছে বঙ্গবন্ধু-বঙ্গমাতা গোল্ডকাপ

পরে বিভিন্ন ভাবে আমাদের সাথে যোগাযোগ করে আবজাল। তাদেরকে মারপিট ও ভয়ভীতি দেখিয়ে এবং হালকা মামলায় চালান দেবার নাম করে বিল্লালের কাছে থাকা ১৬ হাজার টাকা, বিকাশের মাধ্যেমে ১০ হাজার টাকা এবং গতকাল শনিবার সকালে ২৫ হাজার টাকা নেয়। পরে জানতে পারি পুলিশ ৫১ হাজার টাকা কৌশলে হাতিয়ে নিলেও একটিও কথা রাখেনি। বিল্লালের মা কান্না জড়িত কণ্ঠে বলেন, ছেলের মার দেখে কি কোন মা ঠিক থাকতে পারে। তাই ধারকর্জ করে ওই টাকা পুলিশকে দিয়েছি।

রোববার বিষয়টি জানাতে পুলিশ সুপারের নিকট যাব। কারণ আমার আর হারাবার কিছুই নেই। ছেলের মারপিটও হয়েছে মামলাও হয়েছে। আমাদের যা হবার তা তো হয়েই গেছে। এলাকাবাসি অভিযোগ করে বলেন, এসআই আবাজাল বেগমপুর ক্যাম্পে থাকাকালিন সময় এ ধরণের একটি ঘটনা ঘটিয়ে ছিলো। সে সময় বিষয়টি পুলিশ সুপার জানতে পেরে ক্যাম্প থেকে থাকে প্রত্যাহার করে নেয়। বেগমপুরে দায়িত্ব পালন কালে তিনি এলাকার অনেক কেই চেনেন।

এ ব্যাপারে এসআই আবজাল বলেন, আমার বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। এদেিক বিষয়টি তদন্তপূর্বক প্রয়োজনিয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পুলিশ সুপারের সু-দৃষ্টি কামনা করেছে এলাকাবাসি।

সেপ্টেম্বর ০১, ২০১৯ at ১০:২৮:৩০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আহা/আক/টিআর/কেএ