আমি ডিসির কথা বলতে চাই কিন্তু?

ছোটবেলায় বইতে পড়েছি এক কথায় জেলা প্রশাসক হলেন জেলার চোখ কান নাক মুখ।
স্বভাবগতভাবেই সরকারি চাকরিজীবীদের পক্ষে একটু লিখি। পরের সংগত কারণেই ডিসি স্যারের পক্ষে অবস্থান নেই।কিন্তু তিনি জেলা প্রশাসক। আজকে যারা এসিলেন্ট তার আগামীকাল ডিসি হবেন কিনা কেউ বলতে পারেন না। আসমান জমিনের সমান দক্ষতা অর্জন করলে একজন জেলা প্রশাসক হওয়া সম্ভব। জেলা প্রশাসকের অফিস কক্ষ এই হোক আর গোপন রুম ই হোক। সেই কক্ষে ওয়েব ক্যামেরা সিসি ক্যামেরা ব্যাটারি ক্যামেরা পয়েন্ট ক্যামেরা এসি ক্যামেরা বোতাম ক্যামেরা ফিট করার দুঃসাহসিক কাজ সহজসাধ্য নয়। জেলার সমস্ত তথ্য-প্রমাণ জেলার সমস্ত ডকুমেন্ট সরকারের সাথে জেলা প্রশাসক মহোদয়ের যোগাযোগ সরকারি আদেশ সবকিছুই রাষ্ট্রীয় সম্পদ। এটি হনন করার প্রচেষ্টা করা অত্যন্ত গুরুতর অপরাধ। যেহেতু সাধনার ধন শিরোমণি! উচ্চপর্যায়ের সাধনা ছাড়াই সাধনা কে নিয়ে ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। সে সাধনা নিজেও সরকারি কর্মচারী। এবং জেলা প্রশাসক মহোদয় একজন শুদ্ধ অফিসার ছিলেন বিধায় শুদ্ধাচার সনদ প্রাপ্ত। লোভ মদ মোহ মাৎসর্য নেশা প্রেসার মধ্যেই খুঁজে নিয়েছে সাধনা।

বীরত্ব পুরুষত্বের কাছে পরাজয়। প্রশাসক সাধনা করতে না পারলেও অসাধ্য সাধন না করেও তিনি সাধনার প্রেমে পড়েছেন। এ সাধনা আরাধনা ছাড়া ভালো নিজেকে নিয়োগ করেছেন জেলা প্রশাসনের অফিসের বাচ্চা অফিস কক্ষে। যে কোনভাবেই উচ্চপর্যায়ের হোক আর নিম্নপর্যায়ের হোক একজন মানুষের ভিডিও ভাইরাল করে দিলেই তিনি সাসপেন্ড ও এসডি হবেন এটি প্রায় নিয়মিত ব্যাপার। ফেসবুকের ধরলে পড়লে তার রেহাই নাই। কিন্তু ভিডিও পাইরেসি করা যায়। ভিডিও কল অন করা যায়। ভিডিও এডিট করা যায়। ভিডিও দিয়ে ভিডিওর জন্ম দিয়ে বাচ্চা ভিডিও তৈরি করা যায়। জনাব ডিসি স্যার যদি প্রমান করতে পারেন এই ভিডিও পাইরেসি সার্থক জনম তার। সাধনার ধন হবে শিরোমণি। গোপনে যেভাবে ভিডিও ধারণ করা হয়েছে। তাতে ওই ভিডিওতে ভদ্রমহিলা বিবস্ত্র হলেন না। অথচ আমার মাননীয় সমীপেষু জেলা প্রশাসক মহোদয় এর ছবি সম্পূর্ণ সুতাবিহীন। একজন এক্সপার্ট সেক্সুয়ালিটি হলে পার্টনারের সমান সমান অবস্থা বার্ষিক হাল হকিকত হতে পারত। এ বিষয়ে তিনি একেবারেই অপারঙ্গম।ভিডিওতে দেখা গেছে গোপন রুম থেকে তিনি আগেই বেরিয়ে গেছেন। এটি প্রচন্ড বুদ্ধি তার কাজ। এ ধরনের অপারেশনের আগেই গোপন রুম তন্নতন্ন করে ওয়াশ করতে হতো কোন কিছু লাগানো আছে কিনা।

এমনিতেই এন্ড্রয়েড এর যুগে মহা হুমকি-ধামকির মধ্যে মানুষ থাকে। ডিসি স্যারের লক বইতে যদি দেখেন ওই রুমে গত তিনদিন কে কে প্রবেশ করেছিলেন তাহলেই তিনি পারবেন এই ক্যামেরার ক্যাসেট করেতে। কিন্তু ৭২ ঘন্টার বেশি কোন ওয়েব ক্যামেরা বা বোতাম ক্যামেরা তার আয়ত্তাধীন এলাকায় সকাল থেকে মুখ করতে পারবেনা। কারণ এগুলো পাওয়ার অর্থাৎ চার্জে চলে। যদি এবং ও যেহেতু আরো বলা যেতে পারে সাধনার সাথে ব্যক্তিগত সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন উত্থাপিত হয়নি। কিন্তু সাধনার সাধনা ছিল ওই অফিসের গোপন কক্ষে। এবং হয়তো ডিসি মহোদয় দেখে নিন সাধনার মাথায় কোনো চুল নেই। দেখার ইচ্ছা আকাঙ্ক্ষা আশা কোনটাই হয়নি এবং কারণ সম্পর্কের নিতান্তই দৈহিক এবং সমঝোতার যেহেতু সমঝোতার সহমর্মিতার সহযোগিতার ভারসাম্যের অসম সম্মানের ব্যবধান কমানোর একই কাম-লালসা চরিতার্থ হওয়ার দিবালোকে অফিস কক্ষে একই এবং এই মুহুর্তে জরুরী সেহেতু সম্পন্ন হয়েছে। বিধায় সাধনা দু’দণ্ড প্রতাপ সিলেট জেলা প্রশাসকের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে অফিসের অন্যান্য মানবের উপরে এবং তাই অতএব বলা যেতে পারে তিনি আকৃষ্ট হয়েই সাধনা ছাড়াই সাধনা প্রতি অসাধনা ছিল ভালোবাসায় মহা তরঙ্গে ঘুরেছেন।

আরও পড়ুন:
সরকার চিনি শিল্প বিক্রি হতে দেবে না
পৌরসভার ৬টি ওয়ার্ডে এডিস মশার লার্ভা’র স্থান চিহ্নিত

বিনা দ্বিধায়, তীব্র ঘৃণায় মুহূর্তের মধ্যে চিরচেনা জেলাপ্রশাসক আমাদের কাছে জঘন্য হলেও যে বিষয়ে বাকি থাকে সেটি হল রাষ্ট্রের ৬৪ টি অফিসের অন্যতম অফিসে সিসি ক্যামেরা ফিট করা সেটির কপি নেওয়া সেটিকে অজ্ঞাতনামা ফেসবুক আইডিতে ভাইরাল করা সেটাকে ব্যবহার করে ফেসবুকের দৌরাত্ম বৃদ্ধি করা বহুদিনের যাচাইকৃত সরকারি উচ্চপদস্থ পুরস্কারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে দিনের আলোতে ফেসবুকের আলোয় উদ্ভাসিত করা।এ যেন রীতিমতো সবাই জানতো তার জন্য চরম বিশ্বাসঘাতকতা তার জন্য তার জীবন এবং সংসারের প্রতি চরম অশনি সংকেত। কিন্তু জেলা প্রশাসক মহোদয়ের স্ত্রী-সন্তান বাবা-মা-ভাই-বোন সহকর্মী তাদের সেন্টিমেন্টে অসম্মানের আঘাত করা এই কোন ভিডিও একটি তদন্তের দাবি রাখে। সময় উপযোগী অপকৌশলে লিপ্ত ষড়যন্ত্রকারীরা যেকোনো সময় এধরনের প্রযুক্তি লীলাখেলা খেলেই যাবে।

ডিসি মহোদয় এবার নিশ্চিত ভাবেই সমাজের কাছে ছোট হয়েছেন। কিন্তু এটি করার কারণে অধিকার নেই। সেই অধিকার হরণ করা হনন করা এবং অসম্মান এবং লজ্জার একটি অনবদ্য বার্তা বার্তা তার ফ্যামিলিকে যারা যেভাবেই দিয়ে থাকুক সেটির একটি সুদূরপ্রসারী প্রভাব থেকে যায়। সম্পর্ক সমরাঙ্গনে সমানভাবে সম স্ট্যাটাসে সহ কলিগে সহকর্মীদের মধ্যে হতেই পারে। কিন্তু তারও একটি উচ্চমাত্রা ও নিম্নমাত্রার থাকতে হবে। অবশ্য গভীর কৃতজ্ঞতা ভালোবাসার আধারে আলোতে অন্ধকার হয়ে সাধনা জেলা প্রশাসকের প্রতি অন্ধবিশ্বাসী হয়েই এব্যাপারে কোন মুখ খুলেননি। উপন্যাসে তিনি দিব্যি বিশ্বাস ভাজন অবিচ্ছেদ্য অংশ মিশ্রিত অঙ্গের কাজ করেছেন।

চরিত্রহীন লোক কখনোই বেইমান হয় না। সে পরীক্ষিত প্রমাণ সাধনা না করলেও স্বাধীনতা প্রমাণ করেছেন। সমস্যা তারও নেই সমস্যা হয়ে জেলার লোকজনের নেই। সমস্যা থাকলেও সাধনা সাধনা করে তারা তারাতে পারবেন। একবার ভেবে দেখেছেন জেলা প্রশাসক মহোদয়ের পরিবার ও তার সন্তানদের সামাজিক অবস্থান। সামাজিক মর্যাদা। পারিবারিক দক্ষতা ও মেলামেশার অবস্থান। বড় হওয়া ও স্কুল কলেজের পরিবেশ। পিতার সামনে দাঁড়ানোর অঙ্গভঙ্গি। স্বামীর প্রতি স্ত্রীর চোখের দৃষ্টি। সন্তানের প্রতি সাধনার দৃষ্টি। বাবার ভাইরাল ভিডিও উত্তর ছেলেদের দিতে হবে উত্তর উত্তর। স্বামীর প্রতি ভক্তি শ্রদ্ধা অনুগত্য সম্মান ভালোবাসা অংশগ্রহণ সংসারের যুদ্ধ করা একই সময়ে একই ডাইনিংয়ে খেতে বসা ঈদ পৌষ পার্বণ উৎসব উৎসব দুঃখ বিষাদ অসুস্থতায় অসময়ে অচেতনে অন্ধকারে অসামর্থ্যের সামর্থ্য স্ত্রী স্বামীকে স্বামী স্ত্রীকে পিতা পুত্রকে পুত্র পিতাকে কন্যা পিতা কন্যাকে কেমনে করিবে ধারণ! এ সম্ভ্রমহানি এ লজ্জা অসম্মান এ সমাজচ্যুতির উপাখ্যান, সুস্থ মাথায় জল ঢালার ও বিকৃত ইতিহাস সৃষ্টির পর সুস্থ মনের স্বাভাবিক বিকাশ সে চোখের উপস্থাপনে কেমন হবে কতদূর আগাবে তা তারাই জানে।
একটি ব্যক্তিগত গোপন নষ্টামি নোংরামি, একটি অসচ্ছল লোভ-লালসার ফলাফলের ফলাফল যদি তার স্ত্রী পুত্র-কন্যা উপোর পরে তারই বা কি করার আছে।

তার চোখ মুখের দিকে তাকালে মনে হয় সে তো যা করার ইচ্ছেই হোক আর অনিচ্ছায় হোক করেই ফেলেছে। কিন্তু পরবর্তী ফলাফলের ফল আমরা কেউ একজন ঠেকাতে পারলাম না। সবাই মিলে তার পরিবারের উপর উৎফুল্ল ভাবে চাপিয়ে দিলাম।আমরা ভুলেই গেলাম এটি কোন জেলাপ্রশাসকের পরিবার নয়। একজনের কর্মের ফলাফল তিনজনের পরিবারের উপর সমাজের উপর চলাচলের উপর বেড়ে ওঠার উপর বড় হওয়া ও প্রতিষ্ঠার উপর চাপিয়ে দিয়ে প্রতিটি ফেসবুক আইডিতে হাততালি দিচ্ছি। আর প্রতি মিনিটে সিসি করছি। এখানেই শুধু আমার আপত্তি।

আগস্ট ৩১, ২০১৯ at ২৩:৩৮:৩০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আহা/আক/আইএইচ/কেএ