অ্যালোভেরার জুসে চনমনে স্বাস্থ্য

অ্যালোভেরা বা ঘৃতকুমারীর বহুল উপকারিতা সম্পর্কে অনেকেই জানেন। ত্বক, চুলের যত্ন হোক বা ওষুধ তৈরি সব ক্ষেত্রেই অ্যালোভেরা গাছের শাঁস ব্যবহৃত হয়।  এতে রয়েছে ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, জিঙ্ক, সোডিয়াম, অ্যামিনো অ্যাসিড, আয়রন, ভিটামিন এ, বি৬ এবং বি২। বর্তমানে জেট গতির লাইফস্টাইলে এত নিয়ম করে খাওয়াদাওয়া হয়ে ওঠে না। এতে শরীরের মারাত্মক ক্ষতি হয়। পেট ভরানোর জন্য প্রায়শই জাঙ্ক ফুড খাওয়ার কারণে শরীরের বারোটা বেজে যায়। ওজন বাড়তে থাকে। এমন পরিস্থিতিতে জিমে না ছুটে ঘরোয়া পদ্ধতিতে ওজন কমানো যেতে পারে অ্যালোভেরার সাহায্যে। পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধেও অ্যালো-জেলের জুড়ি মেলা ভার।

আরও পড়ুন :
বাংলাদেশে আসছেন শাহরুখ প্রসেনজিৎ
বাংলাদেশে জিম্বাবুয়ে আফগানিস্তানের সফরসূচি

অ্যালোভেরায় থাকা প্রাকৃতিক উপাদান সমূহ আমাদের দেহের ভিতরে থাকা ব্যাকটেরিয়া সমূহকে ধ্বংস করে আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। দীর্ঘজীবন লাভ করতে হলে অ্যালোভেরা জুসের কোনও বিকল্প নেই। কারণ নিয়মিত এই প্রাকৃতিক উপাদানটি গ্রহণ করলে দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এতটা শক্তিশালী হয়ে ওঠে যে সর্দি-কাশি থেকে শুরু করে ছোট-বড় কোনও রোগই আমাদের ধারে কাছে ঘেঁষতে পারে না। সেই সঙ্গে সংক্রমণে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও অনেক কমে যায়।

দেশের অধিকাংশ মধ্যবয়স্ক মহিলা অ্যানিমিয়ায় ভোগেন। এটি একটি ‘সাইলেন্ট কিলার’, যা মহিলাদের অনেক ক্ষতি করে থাকে। এমন পরিস্থিতিতে অ্যালোভেরা জুসের বিকল্প নেই। কারণ এই প্রকৃতিক উপাদানটিতে রয়েছে একাধিক উপকারি উপাদান যা আমাদের দেহের ভিতরে প্রবেশ করে লোহিতকণিকার উৎপাদন বাড়াতে শুরু করে। ফলে অ্যানিমিয়ার আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা অনেক কমে যায়।

একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে নিয়মিত অ্যালোভেরা জুস খাওয়া শুরু করলে আমাদের দেহের ভিতরে এমন কিছু পরিবর্তন হতে শুরু করে যে, যার প্রভাবে প্রয়োজনীয় হরমোনের ক্ষরণ ঠিক মতো হতে শুরু করে। ফলে আমাদের হরমোনাল ইমব্যালেন্স হওয়ার মতো সমস্যা হয় না। বিশেষ করে প্যানক্রিয়াস সংক্রান্ত নানা রোগের চিকিৎসাতেও এই প্রাকৃতিক উপাদানটি বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

আগস্ট২৯, ২০১৯ at ১০:০৬:৩৭(GMT+06)
দেশদর্পণ/আহা/জুবা/ইআ