আমাজান রক্ষায় ৫০ লাখ ডলার দিচ্ছেন ক্যাপ্রিও

জ্বলছে পৃথিবীর ফুসফুসখ্যাত আমাজান জঙ্গল। আর এই আমাজানের মূল্যবান সম্পদ ও বন্যপ্রাণী রক্ষায় হলিউড সুপারস্টার লিওনার্দো ডি ক্যাপ্রিও ৫০ লাখ ডলার সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। পরিবেশ রক্ষায় তার সংগঠন আর্থ অ্যালায়েন্সের মাধ্যমে এই অর্থ দেওয়া হবে।

বিবিসির খবরে বলা হয়, গত সোমবার আমাজনে দাবানলের পরিপ্রেক্ষিতে ক্যাপ্রিও এই ঘোষণা দেন।

আরও পড়ুন :
হার্ট অ্যাটাক হলে পানিতে ডুবে গেলে ইলেক্ট্রিক শক খেলে প্রথমে করণীয়
ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে কলা

আর্থ অ্যালায়েন্স বিবৃতিতে জানায়, প্রাথমিক এই সহায়তা ‘পৃথিবীর ফুসফুসে’র গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয়ে নিরাপত্তা দিবে। স্থানীয় প্রতিনিধি ও আদিবাসী মানুষের নিরাপত্তায় অর্থ ব্যয় হবে।’

অরপদিকে ডি ক্যাপ্রিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইনস্টাগ্রামে একটি পোস্ট করেছেন। সেখানে তিনি লেখেন, ‘১০ লাখ আদিবাসী ও ৩০ লাখ প্রাণবৈচিত্রের ব্রাজিলীয় অ্যামাজন পুড়ছে গত দু’সপ্তাহ ধরে।’

অপর আরেক পোস্টে ক্যাপ্রিও জানান, তিনি ও আর্থ অ্যালায়েন্সের অন্য দুই সহপ্রতিষ্ঠাতা বিলিওনিয়র লরেন পাওয়েল, ব্রায়ান শেঠ সংগঠনটির তহবিলে পাঁচ মিলিয়ন ডলার কিংবা ৫০ লাখ ডলার দিবেন। যা আমাজনের জীববৈচিত্র্যে রক্ষায় সাহায্য করবে।

এর আগে আমাজনের চলমান ভয়ানক দাবানল নিয়ন্ত্রণে ব্রাজিল সরকারকে ২২ মিলিয়ন ডলার অর্থ সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল বিশ্বের শিল্পোন্নত দেশগুলোর জোট জি৭। তবে সংগঠনটির এই আর্থিক সহায়তা গ্রহণে অস্বীকৃতি জানিয়েছে ব্রাজিল সরকার।

প্রসঙ্গত, ১৫ আগস্ট থেকে জ্বলছে ‘দুনিয়ার ফুসফুস’ খ্যাত ব্রাজিলের আমাজন জঙ্গল। এরমধ্যেই গত বৃহস্পতি থেকে শুক্রবারের মধ্যে নতুন করে আমাজনের এক হাজার ২০০টি স্থানে আগুন ছড়িয়ে পড়েছে। নতুন করে আগুন ছড়িয়ে পড়ার পর কেন্দ্রীয় সরকারের শরণাপন্ন হয়েছে ছয়টি রাজ্য। বিভিন্ন স্থানে ভয়াবহ রকমের আগুনের কুণ্ডলী তৈরি হয়েছে। এসব রাজ্যের কর্তৃপক্ষ আগুন নিয়ন্ত্রণে সামরিক বাহিনীর সহায়তা চাইছে। সেনা সহায়তা চাওয়া রাজ্যগুলো হচ্ছে পারা, রন্ডোনিয়া, রোরাইমা, টোকানটিন্স, একর এবং ম্যাটো গ্রোসো। এরমধ্যে রন্ডোনিয়া প্রদেশে ইতিমধ্যেই সামরিক বাহিনীর বিমান থেকে পানি ঢালার কাজ শুরু হয়েছে।

ব্রাজিলের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর স্পেস রিসার্স জানিয়েছে, ২০১৯ সালে এ পর্যন্ত প্রায় ৭৪ হাজার দফায় অগ্নিকাণ্ডের শিকার হয়েছে এ বনভূমি। তবে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে এবারের আগুন ভয়াবহ। আগুন ছড়িয়ে পড়ার ঘটনায় ব্রাজিলের উগ্র ডানপন্থী ও বাণিজ্যপন্থী প্রেসিডেন্ট জেইর বলসোনারোর নীতিকে দায়ী করছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়। বন পুড়ে বাণিজ্য সম্প্রসারণের নীতির জন্য নিজ দেশের পরিবেশবাদীদের কাছেও তোপের মুখে পড়েছেন তিনি।

সর্বশেষ আগুন নিয়ন্ত্রণে ব্রাজিল সরকারের নিষ্ক্রিয়তার ঘটনায় দেশটির সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি বাতিলের হুমকি দেয় ইউরোপীয় ইউনিয়ন। ব্রাজিলিয়ান অর্থনীতিকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করে অন্য দেশগুলো। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক চাপের মুখে আমাজনের আগুন নেভাতে উদ্যোগী হয় বলসোনারো সরকার।

আগস্ট২৯, ২০১৯ at ০৬:৪২:০৩(GMT+06)
দেশদর্পণ/আহা/ গোনি/ইআ