আরএমপির উদ্যোগে চার বছর পর জুথিকে ফিরে পেল তার পরিবার

আরএমপির উদ্যোগে এবং সোশ্যাল মিডিয়ার কল্যাণে মোসাঃ আমেনা খাতুন জুথি (৮) ফিরে পেল তার পরিবারকে। গতকাল বুধবার দুপুরে পুলিশ কমিশনার জনাব হুমায়ুন কবির বিপিএম, পিপিএম, আরএমপির নির্দেশে আইনী প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে জুথিকে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

জানা যায়, (গত ২ ফেব্রুয়ারী ২০১৫) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে রাজশাহী রেলষ্টেশন-এ কান্নাকাটিরত অবস্থায় জনৈক মোঃ ফেরদৗস হোসেন জুথিকে উদ্ধার করে শাহমখদুম থানায় শিশুটিকে হস্তান্তর করেন। পরবর্তীতে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে মোসাঃ আমেনা খাতুন জুথিকে প্রেরণ করা হয় এবং পাশাপাশি তার পরিবারকে খুঁজে বের করার চেষ্টা করা হয়।

জুথিকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তার বাবা বাহরাইন প্রবাসী এবং বাড়ি লাঙ্গলকোট, কুমিল্লা। সে ঢাকায় গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করতো কিন্তু সেখানে সে মারধরের শিকার হত। নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে একদিন সে বাসা থেকে বের হয়ে ট্রেনে করে রাজশাহী চলে আসে। ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে থাকাকালীন সময়ে পরিবারকে খুঁজে না পাওয়ায় মোসাঃ আমেনা খাতুন জুথিকে দীর্ঘমেয়াদী পুর্নবাসনের জন্য ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারের সহযোগী প্রতিষ্ঠান এ্যাসোসিয়েশন ফর কম্যুনিটি ডেভেলপমেন্ট (এসিডি)’কে বিধি মোতাবেক হস্তান্তর করা হয়।

আরও পড়ুন :
২৪ ঘন্টায় নতুন ৮ জন ডেঙ্গু রোগী ভতি
বন্ধুর চাইনিজ কুড়ালের কোপে যুবক আহত

এসিডির তত্ত্ববধানে জুথি বেড়ে উঠতে থাকে এবং বর্তমানে তার বয়স ১৩ বছর। সম্প্রতি ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারের পুলিশ পরিদর্শক পলি দাস জুথির পরিবারকে খুঁজে বের করার পুনরায় চেষ্টা করেন। সেই প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে ওসি লাঙ্গলকোট কুমিল্লার সাথে যোগাযোগ করা হয়।

পরবর্তীতে ওসি লাঙ্গলকোটের নির্দেশে এসআই দিবাকর রায় তার নিজস্ব ফেসবুক টাইম লাইনে জুথির সকল বিবরণ শেয়ার করলে জুথির চাচাতো ভাইয়ের স্ত্রী শারমিন উক্ত পোস্টটি দেখার পর থানাতে যোগাযোগ করেন। অতঃপর ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারের উদ্যোগে জুথির পরিবারের সাথে যোগযোগ করা হলে জুথির পরিবার গতকাল ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার, আরএমপিতে আসে।

এ সময় পুলিশ কমিশনার জনাব হুমায়ুন কবির বিপিএম, পিপিএম, আরএমপির নির্দেশে এবং অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার জনাব সুজায়েত ইসলাম সরাসরি তত্ত্বাবধানে যথাযথ আইনী প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে জুথিকে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

আগস্ট ২৮, ২০১৯ at ২০:৪৮:১৮ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আহা/এমআরআর/আজা