কিশোরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সার্জারি ও অ্যানেসথেশিয়া এবং গাইনী ডাক্তার না থাকায় অপারেশন থিয়েটার (ওটি) বন্ধ রয়েছে। সরকার কয়েক লাখ টাকা ব্যায়ে ৫০ শয্যা বিশিষ্ট এ হাসপাতালটিতে ২ টি স্বয়ংক্রিয় আধুনিক অপারেশন থিয়েটার স্থাপন করলেও তা জনগণের কোন কাজে আসছে না।
দীর্ঘদিন যাবৎ অযত্ন, অবহেলায় পড়ে থাকার কারণে অপারেশন থিয়েটারের এ্যানেসথেশিয়া মেশিনসহ অন্য সরঞ্জামাদি নষ্ট হতে বসেছে। এছাড়া হাসপাতালটিতে প্রায় অর্ধকোটি টাকা ব্যায় করে আনা এক্সরে মেশিনটি অকেজো হয়ে পড়ে আছে। অথচ এ ব্যাপারে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ কোন নজর দিচ্ছে না।
জানা গেছে, কিশোরগঞ্জ উপজেলার জনসাধারণের চিকিৎসা সেবাদানের লক্ষে ১৯৮২ সালে প্রথমে ৩১ শয্যাবিশিষ্ট একটি সরকারি হাসপাতাল তৈরি করা হয়। এ হাসপাতালে আধুনিক যন্ত্রপাতি সমৃদ্ধ একটি অপারেশন থিয়েটার তৈরি করা হয়। হাসপাতাল তৈরির প্রথম দিকে কিছু সময় অপরেশন থিয়েটার চালু থাকলেও গত ২৪ বছর থেকে অপারেশন থিয়েটার বন্ধ রয়েছে।
এরপর গত ২০১৩ সালে হাসপাতালটিকে ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হয়। ৫০ শয্যায় নতুন করে পোস্ট অপারেটিভ রুমসহ ৫টি অত্যাধুনিক রুম তৈরি করা হয়। সেই সঙ্গে হাসপাতালটিতে অপারেশন চালু করার লক্ষে একটি এ্যানেসথেসিয়াসহ অন্য যন্ত্রপাতি সরবরাহ করা হয়। কিন্তু অপারেশন থিয়েটার এবং যন্ত্রপাতি থাকার পরেও শুধুমাত্র সার্জারি, অ্যানেসথেসিয়া ও গাইনী কনসালটেন্ট না থাকার কারণে যুগের পর যুগ ধরে অপারেশন বন্ধ রয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকতা ডা. মোহাম্মদ মেজবাহুল হাসান চৌধুরী বলেন, ৫০ শয্যার এ হাসপাতালটিতে নতুন করে অপারেশন থিয়েটার (ওটি) চালু করার জন্য উর্দ্ধতন কর্তপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছি। সেই সঙ্গে অপারেশন করার জন্য সার্জারি, এ্যানেসথেসিয়া ও গাইনী ডাক্তার দরকার।
আগস্ট ২৮, ২০১৯ at ১৪:৫৮:১৮ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আহা/জএ/আজা