প্রশাসনকে জেএমবির তথ্য দেয়ায় রুবেলকে হত্যা করে দুর্বৃত্ত

জেএমবি প্রতিরোধে প্রশাসনকে তথ্য দিয়ে সহায়তা করার দায়ে রুবেলকে পিটিয়ে হত্যা করেছে বলে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেছেন নিহত রুবেলের স্ত্রী সমিজা বেগম। শুধু তাই নয়, আমার স্বামীকে হত্যার পরে আমাদেরকে ও হত্যাসহ বিভিন্ন ধরণের হুমকি দিচ্ছে।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এক সংবাদ সম্মেলনে কান্না জড়িত কণ্ঠে উপজেলা দাইপুখুরিয়া ইউনিয়নের পলাশবাড়ি-চাকলা গ্রামের গণপিটুনিতে নিহত রুবেলের স্ত্রী মোসা. সমিজা বেগম বলেন, আমার স্বামীকে যারা হত্যা করেছে তারা জেএমবির সক্রিয় সদস্য।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সমিজা বেগম আরো বলেন, আমার স্বামীকে হত্যার পর সোমবার রাত ৯ টার দিকে আমি মামলা করার জন্য থানায় গেলে থানার অফিসার ইনচার্জ শিকদার মো. মশিউর রহমান আমার কোন কথা না শুনে আমাকে থানা থেকে বের করে দেন। এমনকি মামলার অভিযোগ কপিও লিখে দিতে নিষেধ করেছেন কম্পিউটার লেখকদেরকে।

আরও পড়ুন :
এডিস মশার প্রজননের অনুকূল পরিবেশ
১৯৮০ বোতল দেশী মদসহ মাদক ব্যবসায়ী আটক

আমি নিরুপায় হয়ে মঙ্গলবার দুপুরে আমার ভাসুর (রুবেলের বড় ভাই) ফাকুরুদ্দিনকে সাথে নিয়ে রাজশাহী রেঞ্জ ডিআইজির বরাবর ওসি কর্তৃক মামলা গ্রহণ না করার প্রসঙ্গে একটি লিখিত অভিযোগ করি।

তিনি লিখিত বক্তব্যে আরো জানান, সোমবার সকাল ১০টার দিকে আমার স্বামী রুবেল বাড়ির পার্শে আম বাগানে বসে থাকা অবস্থায় জেএমবি সক্রিয় সদস্য দাইপুখুরিয়া ইউনিয়নের চাকলা গ্রামের সাকিরুল (৫০), রুবেল (৪০), তোহিদ (৩৫), সেফাজুল(৬০) ফরহাদ(৩০), নেফাউর (৩০), আতার (৩৫), তোসলিম (৬০)সহ আরো কয়েকজন তাড়া করলে আমার স্বামী রুবেল প্রাণের ভয়ে ঘরের মধ্যে খাটের নিচে লুকিয়ে যায়। সেখান থেকে তাকে তারা টেনে হেঁচড়ে বের করে এলোপাথারি ভাবে পিটিয়ে হত্যা করে

কিন্তু তারা নাটকীয় ভাবে রুবেল কে থানার পুলিশ দিয়ে পূর্বে ডাকাতি মামলা দেখিয়ে হাসপাতালে মারা গেছে বলে প্রচার করে। সংবাদ সম্মেলনে মোসা. সমিজা বেগম স্বামী হত্যার ঘটনায় আইনুগত সুষ্ঠ বিচারের দাবি করেন।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, নিহত রুবেলের ভাই কানু, ফাকুরুদ্দিন ও ভাবি বেবি বেগম। এব্যাপারে শিবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ শিকদার মো. মশিউর রহমান নিহত রুবেলের স্ত্রী সমিজার অভিযোগ অস্বীকার বলেন, তাদের সাথে আমার দেখা হয়নি এবং কথাও হয়নি। এমনকি কোন লিখিত অভিযোগও দেননি। লিখিত অভিযোগ পেলে আমি আইননুগ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

আগস্ট ২৭, ২০১৯ at ২১:৩৭:১৮ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আহা/এমজ/আজা