এডিস মশার প্রজননের অনুকূল পরিবেশ

রাজশাহীতে এডিস মশার বিস্তার রোধে প্রচার-প্রচারণা চালানো হয়েছে। ঝোপঝাড় কেটে পরিষ্কার করা হয়েছে। ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সিটি করপোরেশনে নিয়ন্ত্রণকক্ষ খোলা হয়েছে। কিন্তু বাতির নিচে অন্ধকার। নগর ভবনের ভেতরেই সবার অলক্ষ্যে তৈরি হয়েছে এডিস মশার প্রজননের অনুকূল পরিবেশ। এ ছাড়া নগরের প্রায় প্রতিটি ওয়ার্ডেই এমন এডিস মশার প্রজননক্ষেত্র দেখা গেছে।

রাজশাহী নগর ভবনে গিয়ে দেখা গেছে, নগর ভবনের গ্রিন প্লাজার গেটের ওপরে যে সানশেড রয়েছে, সেখানে বৃষ্টির পানি জমে রয়েছে। অবস্থা দেখে মনে হয়েছে এটি কখনোই পরিষ্কার করা হয়নি। গ্রিন প্লাজার গেটে যে প্লাস্টিকের ডাস্টবিন রয়েছে তার ভেতরেও পানি জমে রয়েছে। ডাস্টবিনের গায়ের ময়লা দেখে বোঝা যায় অন্তত এক সপ্তাহের মধ্যে এটি পরিষ্কার করা হয়নি।

সোডিয়াম লাইটের যন্ত্রাংশের ভেতরেও বৃষ্টির পানি জমে রয়েছে। প্রথম আলোনগর ভবনের সাইকেল গ্যারেজের পাশে যেখানে প্লাস্টিকের ডাস্টবিন সাজিয়ে রাখা হয়েছে সেই মেঝেতেও জমে আছে বৃষ্টির পানি। তার মধ্যে গাছের পাতা পড়ে নোংরা হয়েছে। এ ছাড়া নগরের বিভিন্ন ওয়ার্ডে ঘুরে এডিস মশার প্রজননের জন্য এমন অনুকূল স্থান দেখা গেছে।

আরও পড়ুন :
১৯৮০ বোতল দেশী মদসহ মাদক ব্যবসায়ী আটক
রুয়েট ছাত্রীকে লাঞ্ছিত করার অপরাধে বখাটে আটক

নগরের বিভিন্ন থানায় ভেহিকল ডাম্পিং সেন্টারগুলোতে অভিযান চালিয়ে স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন পরিবেশ আন্দোলন ঐক্য পরিষদ ব্যাপক পরিমাণে সন্দেহজনক এডিস মশার লার্ভা পেয়েছে। তারা কয়েকটি থানায় অভিযান চালিয়েছে। বাকি থানার সেন্টারগুলোতেও একইভাবে এডিসের লার্ভা থাকার আশঙ্কা করা হচ্ছে। সেগুলো পরিষ্কারের ব্যাপারে কোনো উদ্যোগ পুলিশ বা সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়নি।

নগরের রাস্তার ওপরে বিলবোর্ড স্থাপনের জন্য যে পাইপ বসানো হয় সেই পাইপের উম্মূক্ত গোড়ায় বৃষ্টির পানি জমে রয়েছে। এগুলোও পরিষ্কারের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
সিটি করপোরেশনের প্রধান পরিচ্ছন্নতা কর্মকর্তা শেখ মোঃ মামুন অবশ্য দাবি করেছেন, তাঁরা নিয়মিত নগর ভবনের পানি জমার জায়গাগুলো পরিষ্কার করে থাকেন। তবে সেখানে ব্যানার ফেস্টুন ও লাইটের যন্ত্রাংশে বৃষ্টির পানি জমার কথা শুনে তিনি বলেন, এগুলো পরিষ্কার করা হবে।

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গত সোমবার সকাল আটটা পর্যন্ত ৫৪১ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছে। স্থানীয়ভাবে দুজন রোগী আক্রান্ত হয়েছে। হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগী ভর্তি অব্যাহত রয়েছে। গত সোমবার সকাল আটটা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় মোট ১৪ রোগী ভর্তি হয়েছে। ৬ আগস্ট রাজশাহী বিভাগীয় পরিচালকের (স্বাস্থ্য) কার্যালয় থেকে পরিচালিত কীটতত্ত্বীয় একটি জরিপের ফলাফল থেকে প্রথম রাজশাহীতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়ার কথা জানা যায়।

আগস্ট ২৭, ২০১৯ at ২১:০৭:১৮ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আহা/এমআরআর/আজা