বহিরাগত ও সন্ত্রাসমুক্ত ক্যাম্পাসের দাবি ইবি ছাত্রলীগের

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) শোকের মাসে ক্যাম্পাসে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টিকারী বহিরাগত ও সন্ত্রাসীমুক্ত ক্যাম্পাসের দাবী জানিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ইবি শাখা নেতা কর্মীরা। সোমবার (২৬ আগষ্ট) সকালে ১০টায় ইবি ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল ইসলাম পলাশ ও সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম রাকিবের নেতৃত্বে উপাচার্যের কার্যালয়ে এ দাবী জানানো হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন,উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ হারুন-উর-রশিদ আসকারী, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ শাহিনুর রহমান, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোঃ সেলিম তোহা, প্রক্টর (ভার:) আনিছুর রহমান ও ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের শতাধিক নেতা-কর্মীবৃন্দ।

এ বিষয়ে শাখা ছাত্রলীগ সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম বলেন, বহিরাগত সন্ত্রাসীরা দেশি-বিদেশীয় অস্ত্রের নিয়ে যে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করেছে আমি তার সুষ্ঠু বিচার চাই।শিবিরের রাজনীতি নাই এ ক্যাম্পাসে তাহলে তারা কেন হলে অস্ত্র রাখবে? আমরা এ ব্যাপারারে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করলেও তেমন কোন সাড়া পায়নি।আমরা দাবি যানাচ্ছি এই বহিরাগত ছাত্র ও হল থেকে যত দেশি-বিদেশি অস্ত্র আছে সেগুলা আজকের মধ্য বের করে দেওয়ার দাবি যানাচ্ছি।

আরও পড়ুন :
মাদক বিরোধী অভিযানে ৩৬৯ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধার
কানসার্টে বিদেশি পিস্তলসহ আটক ১

শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি রবিউল ইসলাম পলাশ বলেন, শোকের মাসে তারা যে এইভাবে হামলা চালিয়েছে সেটা খুবই দুঃখজনক।তারা ছাত্রলীগ দাবি করতেছে তাদের মধ্য অনেকে বহিরাগত, মাদকাসক্ত রয়েছে। আমরা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে এই ঘটনার সুষ্ঠ বিচারের দাবি চা্‌ই।

এ বিষয়ে উপাচার্য বলেন, ক্যাম্পাসে যারা বিশেষ করে এই শোকের মাসে বিঙ্খলা সৃষ্টি কর‍তে চায় তারা আর যাই হোক ছাত্রলীগ দাবি করতে পারে না।জননেত্রী শেখ হাসিনার স্যান্ডিং নির্দেশে বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয় সমূহে কোন ক্যাম্পাসে বিঙ্খলা করা যাবে না। সুতরাং যারা বিঙ্খলা সৃষ্টি করছে তারা ছাত্রলীগ দাবি করার কোন অধিকার রাখে না।

অভ্যান্তরিণ কিছু ব্যাপার থাকতেই পারে কথাকাটাকাটি, ভুল বোঝাবুঝি এইটা কিন্তু উভয়ই বৈধ ছাত্রের মধ্য করতে পারে। একজন অবৈধ ছাত্র কোন অবস্থাতেই ক্যাম্পাসে ঢুকতে পারবে না এবং ক্যাম্পাসকে অস্থিতিশীল করতে পারবে না।এই মূহুর্তে থেকে যদি কেউ বিঙ্খলা সৃষ্টি করতে চাই তাহলে সে দায়-দায়িত্ব আমরা প্রশাসন নিলাম।ছাত্রলীগ কোন সন্ত্রাসী সংগঠন নয় যে কেউ যদি ছাত্রলীগের নাম ভাঙ্গিয়ে বিঙ্খলা সৃষ্টি করতে চাই তাদের উপর ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।

তিনি আরও বলেন, এই ঘটনার সূত্রপাত কিভাবে হলো তার জন্য খুব শক্তিশালী কমিটির মাধ্যমে কেন এই গুলি ফুটলো, বোমাবাজি হলো, ককটেল বাজি হলো এটা আমরা কমিটির মাধ্যমে সনাক্ত করবো।ক্যাম্পাস থেকে সম্পূর্ণ বহিরাগত মুক্ত করার উদ্যোগ নেওয়া হবে। আর যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে আমরা তদন্তের মাধ্যমে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যাবস্থা গ্রহন করবো।

আগস্ট ২৬, ২০১৯ at ১৬:০১:৫৬(GMT+06)
দেশদর্পণ/আহা/আক/তআর/আজা