ডেঙ্গু জ্বর অজুহাতে ডাবের দাম বেড়ে দ্বিগুন

সারাদেশে যে হারে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বাড়ছে সে হারে বাড়ছে ডেঙ্গু রোগীর জন্য কচি ডাবের চাহিদা। সে হিসাবে যশোরের চৌগাছায়ও বেড়েছে কচি ডাবের চাহিদা, আর চাহিদা অনুসারে একটি ডাবের দাম দ্বিগুন হয়ে গেছে, ২৫ টাকার এক কচি ডাব এখন ৪০-৫০ টাকা দামে বিক্রয় করা হচ্ছে ।

তবে দাম বেশি হলেও প্রয়োজনের কারণে অনেকেই বেশি দামে ডাব কিনছেন । কিন্তু ডাবের দাম নিয়ে ক্রেতা বিক্রেতা সবাই পড়ছে নানা ঝামেলায়। অনেকে হঠাৎ ডাবের দাম বেড়ায় হতাশ হয়ে ঘরে ফিরছেন ডাব না কিনে ।

সরেজমিন চৌগাছা বাজারের স্বর্ণপট্রির সামনের মোড়ে সিংহঝুলি ইউনিয়নের গরীবপুর গ্রামের মোঃ মশিয়ার নামের এক ডাব বিক্রেতার সাথে কথা হয় এ প্রতিবেদকের সাথে। এসময় তিনি বলেন, অন্য সব বছরের  তুলনায় এ বছর ডাবে দাম অনেক বেশি।

ডাবের দাম বেশি হবার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, এবার হঠাৎ করে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাবার কারণে মানুষের চাহিদা অনেক বেশি কিন্তু সে তুলনায় ডাব কম পাওয়া যাবার কারণে ডেঙ্গু রোগীর আত্মীয় স্বজনরা একটু বেশিই দামে ডাব কিনে নিয়ে যাচ্ছেন ।

তিনি আরো বলেন, গতকাল আমি কিছু ডাব কিনতে পাশের গ্রাম উজিরপুর যাই সেখানে এটি বাগান ঘুরে মাত্র ১৫ টি ডাব কিনতে পারি যা চাহিদার তুলনায় অনেক কম।

ডেঙ্গু আক্রান্ত একজন রোগী এ প্রতিবেদকে জানান, ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হবার পরে আমি ডাক্তারের কথা মতো তরল খাবার ও ডাবের পানি খাই কিন্তু প্রয়োজনের তুলনায় তেমন একটা ডাব সংগ্রহ করতে পারিনি।

আরো পড়ুন:
ডেঙ্গুতে স্কুল ছাত্রসহ তিন জনের মৃত্যু
বঙ্গোপসাগরে জেলেদের জালে ধরা পড়ছে বিষাক্ত পোটকা মাছ

নাম প্রকাশ না করা শর্তে একজন ডাব ক্রেতা বলেন, ২৫ টাকার ডাব বেড়ে ৩০ টাকা হতে পরে, ৫০ টাকা কি করে হয়, আমরা নিন্ম আয়ের মানুষ তাহলে কি করে ডাব কিনে খাবো ।

উল্লেখ্য, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে গতকাল ১৯ আগস্ট পর্যন্ত সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৫৪ হাজার ৭৯৮ জন। আশাব্যঞ্জক খবর হলো, হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের মধ্যে ৮৪ শতাংশ ডেঙ্গু রোগী ইতোমধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।

স্বাস্থ্য অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে রাজধানীসহ সারাদেশে হাসপাতালে মোট ৬ হাজার ৭৩৩ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি রয়েছেন। এর মধ্যে রাজধানীতে ৩ হাজার ৪১৯ জন এবং বাইরে ৩ হাজার ৩১৪ জন ভর্তি রয়েছেন।

আগস্ট ২৫, ২০১৯ at ২৩:০৪:১৯ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আহ/আক/এমইস/তআ