ডাকাতিয়া নদী অবৈধ ভাবে লিজ দিলো রায়পুর পৌরসভা

ডাকাতিয়া নদীর ৯ একর রায়পুর পৌরসভার পেটেসহ ৭৭ একর জমি প্রভাশালীরা দখল করে নেন। আর দখলদাররা নদীর বুকে ২০ থেকে ২৫টি বাঁশের বাঁধ দিয়েছে। এছাড়া অবৈধভাবে নির্মাণ করা হয়েছে বসবাসের ঘরবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। আর বাঁধ দিয়ে চলছে অবৈধ মাছ চাষ।

এদিকে ডাকাতিয়া নদীতে বিভিন্ন ময়লা আবর্জনায় পানি নিস্কাশনে বাধাপ্রাপ্ত হয়ে জলাবদ্ধতা হচ্ছে। কচুরিপানাসহ বিভিন্ন ময়লা আবর্জনায় দূষিত হচ্ছে নদীর পানি। দখল আর দূষণে ডাকাতিয়া নদী হারাতে বসেছে নদীর ঐতিহ্য।

রায়পুর উপজেলার সাবেক পৌর মেয়র রফিকুল হায়দার জানান যে, ডাকাতিয়া নদীর মহিলা কলেজ থেকে হায়দরগঞ্জ সড়ক পর্যন্ত এক সময় বিএনপি নেতা বদরুল আলম জিন্নাসহ অনেকে, পরে আরও কয়েকজন দখল করে। এবার রায়পুর পৌরসভা থেকে ভূইয়া ট্রেডার্স লিজ নেয়। হায়দরগঞ্জ রোড থেকে উত্তরে দুই অংশে একটিতে শিশির, আরেক অংশে সিরাজ সর্দার মাছ চাষ করছে।

আরও পড়ুন :
বঙ্গোপসাগরে জেলেদের জালে ধরা পড়ছে বিষাক্ত পোটকা মাছ
অভ্যন্তরীন গনতন্ত্র চর্চা বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত

রায়পুর পৌর সভার মেয়র ইসমাইল হোসেন খোকন বলেন, পৌরসভার মধ্যে কোনো বদ্ধ জলমহাল অথবা কোনো পুকুর ২০ একরের নিচে হলে তা পৌরসভা তত্ত্বাবধান করবে এমন সরকারি গেজেটে রয়েছে।

রায়পুর উপজেলা যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক কামরুল হাসান রাছেল জানিয়েছে, অল্প বৃষ্টিতে পৌর এলাকায় ডাকাতিয়া নদীর পানি সরতে না পেরে জলাবদ্ধতা হয়ে তাদের বাড়িতে জমে থাকে।

ডাকাতিয়া সুরক্ষা কমিটির সদস্য সচিব জিল্লুর রহমান জানিয়েছেন, অবৈধ দখলে ডাতাতিয়ার দুই পাশেই অবৈধভাবে দোকানঘর, বাসাবাড়ি নির্মাণসহ লুট করা হচ্ছে নদীর ঐতিহ্য।
সরকারিভাবে দখলদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেয়ায় ডাকাতিয়া নদী লুটে পুটে খাচ্ছে অবৈধ দখলদাররা। এই কারণেই বাঁধে ময়লা আবর্জনা আটকে বর্ষায় জলাবদ্ধ হয়ে থাকছে রায়পুরের আশপাশের এলাকা।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু মুসা বলেন, ডাকাতিয়া নদীর কোনো অংশই ইজারা দেয়া হয়নি। যারা মাছচাষ করছে তারা অবৈধ। ডাকাতিয়া নদীকে দখলমুক্ত করতে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হবে।

আগস্ট ২৫, ২০১৯ at ১৯:০০:১৯ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আহাে/এমএ/আজা