৭ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত সেতু, ৭ মাসেই ধস

ভূরুঙ্গামারী উপজেলায় ৭ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত একটি সেতু সাত মাস না যেতেই ভেঙে পড়েছে। এতে ওই এলাকার প্রায় পাঁচ হাজার মানুষকে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।উপজেলার শিলখুড়ি ইউনিয়নের নদী বিচ্ছিন্ন দক্ষিণ ধলডাঙ্গা গ্রামের চার মাথা এলাকার একটি খালের ওপর এলজিএসপির বরাদ্দের সাত লাখ টাকা দিয়ে চলতি বছরের শুরুর দিকে প্রায় ২৫ ফুট লম্বা ও আট ফুট প্রস্থের একটি সেতু নির্মাণ করা হয়।

জুলাই মাসে সেতুটি ভেঙে যায়। সেতু ভেঙে যাওয়ার কারণে নদী বিচ্ছিন্ন এলাকার সাথে উপজেলা সদরের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। কৃষকদের উৎপাদিত ফসল বাজারে নিতে দ্বিগুণ ভাড়া গুনতে হচ্ছে। অসুস্থ ব্যক্তিদের দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া সম্ভব হচ্ছে না। এ ছাড়া সীমান্তবর্তী এলাকায় অবস্থিত দুটি বিজিবি ক্যাম্পের সদস্যরা যাতায়াতের ক্ষেত্রে সেতুটি ব্যবহার করেন।

আরও পড়ুন :
নর্থওয়েস্ট পাওয়ার কোম্পানির উদ্যোগে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ
পূজা উদযাপন পরিষদের সাবেক উপদেষ্টার ইন্তেকাল

এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়, সেতুটির দৈর্ঘ্য প্রয়োজনের তুলনায় কম হওয়ায় এবং নির্মানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার করে মনগড়া নকশায় সেতু নির্মাণ করায় সাত মাসের বেশি স্থায়ী হয়নি। যোগাযোগ ব্যবস্থা সচল রাখতে সেতুর ওপর প্রায় ৫০ ফুট দৈর্ঘ্যরে একটি বাঁশের সাঁকো তৈরি করা হয়েছে। ঝুঁকি নিয়ে মানুষজন বাঁশের সাঁকোর উপর দিয়ে চলাচল করছে।

ইউপি চেয়ারম্যান ইসমাইল হোসেন ইউছুব জানান, নির্মাণ কাজে নির্মানের সামগ্রী ব্যবহার ও মনগড়া নকশার অভিযোগ সঠিক নয়। যে খালের ওপর সেতু নির্মাণ করা হয়েছে সেটি বেশ বড়। এলজিএসপির সীমিত বরাদ্দ দিয়ে ওই খালের ওপর বড় আকারের সেতু নির্মাণ করা সম্ভব ছিল না। জনগণের ভোগান্তি লাঘবে খালের উভয় পাশে মাটি ভরাট করে আয়তন কমিয়ে এনে সেতু নির্মাণ করা হয়। বন্যায় সেতুর উভয় পাশের ভরাটকৃত মাটি ধুয়ে যাওয়ার কারণে সেতুর উইংওয়াল ধসে পড়ে। দ্রুত সেতুটি মেরামত করে যাতায়াতের সমস্যা সমাধান করা হবে।

আগস্ট ২৫, ২০১৯ at ১৬:৩৮:১৯ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আহা/এজিএল/আজা